ঢাকা শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো

করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২০ | ০৫:৪২ | আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২০ | ০৭:০৭

ব্রিটিশ বহুজাতিক তামাক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো (বিএটি) জানিয়েছে, তামাক জাতীয় উদ্ভিদ ব্যবহার করে করোনার ভ্যাকসিন তৈরি সম্ভব।  তারা বলছে, সঠিক সহযোগিতা পেলে আগামী জুন মাসের মধ্যেই তারা ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটি এখনো প্রি-ক্লিনিক্যাল টেস্টের পর্যায়ে রয়েছে। তাদের দাবি, অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় তাদের ভ্যাকসিনগুলো আরো নিরাপদ এবং দ্রুত উপায় সরবরাহ করার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যদি পরীক্ষাটি ঠিকঠাক মতো হয়, তাহলে সঠিক অংশীদার আর সরকারি সহযোগিতা পেলে জুনের শুরু থেকে প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখ থেকে ৩০ লাখ ডোজ ভ্যকসিন তৈরি করা সম্ভব হবে।

সংস্থাটি বলছে, তামাক গাছ দিয়ে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় দ্রুত এবং নিরাপদভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করা যাবে।

প্রতিষ্ঠানটি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল কেয়ারের সঙ্গে তাদের গবেষণা নিয়ে কথা বলছে।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর বৈজ্ঞানিক গবেষণাবিষয়ক পরিচালক ড. ডেভিড ও'রিলি বলেছেন, ভ্যাকসিন তৈরির কাজটি অনেক জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি যে, আমরা আমাদের তামাক উদ্ভিদ প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি। কোভিড -১৯-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ের জন্য সরকার ও সকল অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমরা প্রস্তুত।

বিএটি জানিয়েছে, উদ্ভিদভিত্তিক ভ্যাকসিন তৈরি করাসহ তামাক গাছের বিকল্প ব্যবহারের দিকে নজর দিচ্ছে কেন্টাকি বায়োপ্রসেসিং (কেবিপি)। কোনো ধরনের লাভ ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করবে। এর আগেও ২০১৪ সালের দিকে ইবোলার ভ্যাকসিন তৈরিতে কেবিপি সযোগিতা করেছিল।

এদিকে এত দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরি আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। লন্ডনের সেন্ট জর্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জুলিয়ান মা বলেছেন, খুব শিগগির ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।  কারণ এটি কতটা নিরাপদ এবং মানুষের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা বাড়াতে পারবে সেটা এখনও জানা যায়নি। সূত্র : মেইল অনলাইন, গার্ডিয়ান



আরও পড়ুন

×