জাপানের উপকূলে একটি প্রমোদতরীতে নতুন করে আরও ৪১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

দেশটির ইয়োকোহামা বন্দরের কাছে পৃথক করে রাখা ডাইমন্ড প্রিন্স নামের ওই নৌযানে থাকা ৩৭০০ আরোহীর মধ্যে এ নিয়ে মোট ৬১ জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেল।

বিবিসি বলছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে ওই প্রমোদতরীটি পৃথক করে রাখা হয়েছে। এতে সর্বপ্রথম করোনায় আক্রান্ত ৮০ বছর বয়সী হংকংয়ের এক ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়।

২০ জানুয়ারি ওই ব্যক্তি নৌযানটিতে উঠেছিলেন, ২৫ জানুয়ারি তিনি হংকংয়ে নেমে যান। এর কয়েকদিন পরই তার শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।

এদিকে হংকংয়েও দ্য ওয়ার্ল্ড ড্রিম নামের একটি প্রমোদতরী পৃথক করে রাখা হয়েছে। নৌযানটির আট যাত্রীর শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়ার পরই এ সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৬৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৪৭৮ জনে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি চীনে; এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপান।

গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর চীনসহ প্রায় ২৫টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এবং প্রাণহানি বাড়তে থাকায় এরই মধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

প্রতিদিন বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা। তবে আশার খবর হলো এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সুস্থ বাড়িও ফিরছেন। বুধবার চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৮৯২ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চীন থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ফলে কোনো কোনো দেশ চীনা নাগরিকদের নিজ দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মাত্র ৩৫ দিনেই চীনের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ রয়েছে এমন দেশের অর্থনীতিও ঝুঁকিতে পড়েছে। বাংলাদেশের জন্য এই ঝুঁকি অনেকের চেয়ে বেশি।