ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের চলমান সহিংসতার জেরে দুইটি ভিন্ন ঘটনায় মেঘালয়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে কারফিউ জারি করা হয়েছে। 

এর মধ্যে শনিবার শিলংয়ের ব্যস্ততম মার্কেট বড় বাজারে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হন। একই সঙ্গে হামলার শিকার হয়ে আহত হন আরও ৯ জন।

অন্যদিকে ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ইছামতি এলাকায় শুক্রবার একটি সমাবেশ চলাকালীন সময়ে খাসি শিক্ষার্থীদের ইউনিয়ন (কেএসইউ) আর অ-আদিবাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে পূর্ব খাশি পাহাড় জেলায় এক ট্যাক্সি চালকের মৃত্যু হয়। 

এদিকে শিলংয়ের জাইয়াও এবং ল্যাংসিং, সোহরা (চেরাপুঞ্জি) শহরের আইও সোহরা বাজার থেকেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে কমপক্ষে দু'জন অ-আদিবাসী আহত হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শনিবার রাত ৯ টায় বিভিন্ন স্থানে জারি করা কারফিউটি রোববার সকাল ৮ টায় তুলে নেওয়া হয়। তবে লুমদিয়েনজরি ও সদর থানাধীন অঞ্চল এবং ক্যান্টনমেন্ট বিট হাউস এলঅকায় কারফিউ চলমান রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ অঞ্চলগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউয়ের আওতায় রাখা হচ্ছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে এমন গুজব প্রতিরোধে খাসি ও জৈন্তিয়া পাহাড় অঞ্চলের ছয়টি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট, মেসেজিং পরিষেবা অস্থায়ীভাবে স্থগিত করা হয়েছে। 

এদিকে রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সব নাগরিক, বিভিন্ন সংস্থাকে যে কোনও ধরনের হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী কনরাড সাঙ্গামা।