আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে মাত্র কয়েক সপ্তাহ, কয়েক দিন, এমনকি মাত্র কয়েক ঘণ্টায় ভিন্ন চিত্র দেখা যেতে পারে। করোনাভাইরাসের জেরে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসেবা এর এক চমৎকার দৃষ্টান্ত। স্বাস্থ্যসেবা সাধারণত স্থানীয় ইস্যু হলেও এখন তা বৈশ্বিক রূপ পাচ্ছে। করোনার চিকিৎসায় স্থানীয় কোনো কার্যকর ব্যবস্থা এখন বিশ্বজুড়ে অনুসৃত হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের কারণে অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবায় আমরা প্রায় নিশ্চিতভাবেই দ্রুত অগ্রগতি এবং উদ্ভাবন দেখতে পাব। বিশ্বের প্রতিটি মানুষ এখন সার্বক্ষণিক সর্বশেষ তথ্য জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন। তথ্য ভাগাভাগির জন্য এটা একটা সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সম্মিলিত গবেষণার সঙ্গে বাস্তব প্রমাণের ভিত্তিতে যৌথ বোধগম্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্ভাব্য টিকার বিষয়েও যৌথ প্রচেষ্টার কথা আলোচিত হচ্ছে। সরকার এখন তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে। এতে যৌথ প্রচেষ্টার বিষয়টি আরও বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
এ রোগ সম্পর্কে তাৎক্ষণিক তথ্য জানানোর মাধ্যমে সরকার ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা জনগণের আস্থা অর্জন করছেন। কভিড-১৯ মোকাবিলায় এখন দরকার গবেষণার তথ্য তাৎক্ষণিক ভাগাভাগি। এখন আর স্থির হয়ে বসে থাকার মতো বিলাসিতার সময় নেই। উদ্ভাবনের গতিকে বেগবান করতে হবে।
কভিড-১৯ রোগটি অভিনব। এটা নিয়ে মানুষের পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। তাই এর কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসাও নেই। ফলে নানা ধরনের চিকিৎসা দেখা যাচ্ছে। এখন দরকার প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি আবিস্কার। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো এ কারণে পূর্ব প্রচলিত রীতি বদলে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে নিজেদের অভিজ্ঞতা অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করছে। এ থেকে যে অভিজ্ঞতা অর্জিত হচ্ছে, তা ভবিষ্যতে ক্ষিপ্র গতির কিন্তু টেকসই চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরিতে সহায়ক হবে। এতে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্জিত জ্ঞান দিয়ে রোগীকে সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার পথ খুলবে। (সংক্ষেপিত)