ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে একদিনে ৮৩৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটিতে এটিই একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা। এ নিয়ে দেশটিতে এই ভাইরাসে ৮ হাজার ৯১১ জনের মৃত্যু হলো। আর এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৯৮ হাজার ১০ জন। 

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ের ভেরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন, এ মহামারি ভয়ানক এক চ্যালেঞ্জ, যার মুখোমুখি আগে কখনো পড়েনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন। 

তিনি বলেন, এমন সংকটে তার দেশ অর্থনৈতিকভাবে ইইউ জোটের সদস্যদের সহায়তা দেবে। খবর বিবিসির।

ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত তথ্যে জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালে ৬০৫ জন এবং নার্সিং হোমগুলোতে ২২৮ জন মারা গেছে। এ প্রাণহানির ঘটনা আগের দিনের তুলনায় ১০ শতাংশ বাড়তি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভেরান বলেন, এখানেই শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের আরও ভয়ানক পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে। দীর্ঘ সংকটাপন্ন পথ পাড়ি দিতে হবে। তিনি দেশবাসীকে ঘরের বাইরে বের না হওয়ার অনুরো জানিয়ে বলেন, আপনারা ঘরে থাকুন। লকডাউন মেনে চলুন। তিনি জানান, সরকার ঢালাওভাবে করোনা পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে। নার্সিং হোমগুলোকে আরও মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হচ্ছে। যাতে বাসিন্দাদের আরও সুরক্ষা দেওয়া যায়। কারণ, করোনায় মৃত্যুর ২৭ শতাংশই নার্সিংহোমে ঘটছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে আরও জানানো হয়, কোনো ইতিবাচক খবর নেই। ৭ হাজারের বেশি মানুষ ইনটেনসিভ কেয়ারে রয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, ইউরোপজুড়ে করোনায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে ইতালিতে। দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৬ হাজার ৫২৩ জন। যা বিশ্বের অন্যান্য যেকোনো দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ প্রাণহানি।