করোনার সংক্রমণ এড়াতে বাজারে মাস্ক না-পাওয়া গেলে ঘরোয়া মাস্কেই নাক-মুখ ঢেকে রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা। গামছা ও শাড়ি দিয়ে অত্যন্ত সস্তায় পাওয়া যায় এমন মাস্ক তৈরিতে মন দিয়েছেন তারা। 

এই কাজে তাদের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছেন অধ্যাপকরাও। গোটা বিষয়টি তদারকি করছেন অধ্যাপক স্বর্ণেন্দু সেন। লোকডাউনের এই বাজারে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। তাই বাড়িতে বসেই কাজ করছেন তারা।

ভারতের সংবাদমাধ্যম জানায়, শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, সবার সমান সামর্থ্য থাকে না। তাই সমাজের সর্বস্তরের  মানুষের জন্য এমন মাস্ক তৈরি করা হচ্ছে।

অধ্যাপক স্বর্ণেন্দু সেন বলেন, 'মাস্কের বাইরে ও ভিতরের ভাগে রয়েছে পলিপ্রোপাইলিন, যা জল আটকাতে সাহায্য করে। আর মাঝখানে থাকছে সুতির গামছা বা শাড়ির অংশ।'

করোনার প্রকোপ ঠেকাতে ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই এগিয়ে আসছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করার কাজে অনেক আগেই হাত দিয়েছিল সুরেন্দ্রনাথ কলেজের রসায়ন বিভাগ। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ মতে, স্যানিটাইজার তৈরির যাবতীয় রাসায়নিক, অ্যালকোহল জোগাড় করেছিলেন তারা। কিছু রাসায়নিক অবশ্য আগেই কলেজের ল্যাবে ছিল। সমস্যা হচ্ছিল হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড পেতে। সাত আটটি দোকান ঘুরে অবশেষে শিয়ালদহের পূরবী সিনেমা হলের কাছে একটি দোকান থেকে তা জোগাড় করেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা।

ওই কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রধান হরিশঙ্কর বিশ্বাস বলেন, 'কলেজে ক্লাস বন্ধ থাকলেও প্রশাসনিক কাজকর্ম চলছে। আমরা কলেজের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনতে গিয়ে দেখলাম, কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে মনে হল, কারও উপর নির্ভর না-করে এ জিনিস তো আমরা নিজেরাই তৈরি করতে পারি।' 

তারপর থেকেই কাজ করে চলেছেন তারা। শুধু নিজেদের জন্য নয়, সাধারণ মানুষকেও বিনামূল্যে স্যানিটাইজার দিচ্ছেন তারা।