যুক্তরাষ্ট্রের স্টেটগুলোতে ধাপে ধাপে লকডাউন তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে ‘ফের সচল আমেরিকা’ নামে গাইডলাইন তুলে ধরেছেন তিনি। রাজ্যগুলোর অর্থনীতিকে আবার সচল করার উদ্দেশ্যেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার প্রশাসন। তবে করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে মৃত্যুর কেন্দ্রে পরিণত হওয়া দেশটির লকডাউন তোলার সিদ্ধান্তে স্টেটগুলোতে বিরোধিতা রয়েছে। সমালোচনার শিকার হচ্ছেন ট্রাম্প। ভাইরাসটির সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ১৮৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আর আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৬ লাখের বেশি মানুষ। খবর বিবিসির।

নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমাদের পরবর্তী লড়াই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে ফের সচল করা। তিনটি ধাপে ধীরে ধীরে স্টেটগুলো তাদের লকডাউন তুলে নেবে। ফেডারেল সরকারের সহায়তা নিয়ে রাজ্য গভর্নররা বিষয়টি নিজেরাই দেখভাল করবে। তিনি পরামর্শ দেন, এ মাসেই কিছু রাজ্য তাদের লকডাউন তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। 

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা উন্মুক্ত হতে চায়, আমেরিকাবাসী মুক্ত হতে চায়। জাতীয়ভাবে শাটডাউন হয়ে থাকা দীর্ঘমেয়াদি কোনো টেকসই সমাধান নয়। 

তিনি বলেন, আমেরিকায় ব্যবসা বাণিজ্য খুলে দিয়ে  অর্থনীতিকে আবার সচল করার পরিকল্পনা নিয়েছে তার প্রশাসন। যারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও কাজে ফিরতে সক্ষম, যদি পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে তবে তারা কাজে ফিরতে পারবেন। আর যদি আমেরিকানরা অসুস্থ থাকে, তবেই তথাকথিত সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখবে, ঘরে বসে থাকবে। 

প্রসঙ্গত, হোয়াইট হাউসের বর্তমান নির্দেশ অনুযায়ী রেস্তোরায় যাওয়া বন্ধ রাখা, অপরিহার্য কারণ ছাড়া বাইরে না  বের হওয়া এবং একসঙ্গে দশ জনের বেশি জমায়েত না হওয়ার যে বিধান এখন চালু আছে, তার মেয়াদ ৩০ এপ্রিল শেষ হচ্ছে।

ট্রাম্প তার পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন ১৮ পাতার নথিতে।  তাতে তিন ধাপে অন্তত ১৪ দিন অন্তর অন্তর এলাকাভিত্তিক লকডাউন তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। 

ট্রাম্প বলেন, সতর্কতার সঙ্গে লকডাউন ধীরে ধীরে তুলে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে সচল করা হবে। 

এদিকে ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ডেমোক্রেট দলের অন্যতম নেতা প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, নতুন গাইডলাইন অস্পষ্ট ও অসঙ্গতিপূর্ণ। 

লকডাউন তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতামত অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছেন। করোনার পরীক্ষার কিট তৈরি ও দ্রুত পরীক্ষার ক্ষেত্রেও ব্যর্থ হয়েছেন।