যুক্তরাষ্ট্রের আরো কয়েকটি রাজ্যে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বারবার সতর্কতা সত্ত্বেও এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এক মাসে দেশটিতে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার হার ১৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় হোয়াইট হাউসকে এই পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্টে এ পর্যন্ত ৫৪ হাজার ৩০০ মানুষ মারা গেছে। সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৯ লাখ। স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মানুষের মধ্যে অসঙ্কোচ মেলামেশা বাড়লে কোভিড-১৯ ফের নতুন করে ছোবল হানতে পারে। তবে লকডাউনের কড়াকড়ি কমানো ছাড়া ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব কমানোর আর কোনো পথ দেখছে না প্রশাসন।
নতুন যে রাজ্যগুলোতে লকডাউন শিথিল হতে যাচ্ছে, সেগুলো হলো কলোরাডো, মিসিসিপি, মন্টানা ও টেনেসি। এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে যেসব রাজ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে জর্জিয়া, ওকলাহোমা, আলাস্কা ও সাউথ ক্যারোলাইনা। স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে তাদের আপত্তির কথা বারবার জানালেও অর্থনৈতিক অচলাবস্থার কথা বলে রাজ্যপ্রশাসন ঝুঁকি সত্ত্বেও লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
লকডাউনের কবলে পড়ে চাকরি হারিয়ে মধ্য-মার্চে বেকার ভাতার দাবিতে আবেদন জানিয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ নাগরিক। নির্দলীয় কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (সিবিও) গত শুক্রবার আভাস দিয়েছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের অর্থনীতিতে বার্ষিক ৪০ শতাংশ হারে সঙ্কোচন ঘটবে। আগামী বছর বেকারত্বের হার আরো ১০ ভাগ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সিবিও।
রোববার হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভিন হ্যাসেট সাংবাদিকদের বলেন, আমি আশঙ্কা করছি, আগামী দুই মাস আমাদের জন্য ভয়াবহ হবে। এখন যা ঘটছে, এমনটা আপনি আর কখনো দেখেননি। 
এদিকে সাধারণ মানুষও লকডাউন তুলে নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ও মিছিল করেছে।