- আন্তর্জাতিক
- করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কাজে ফিরছেন
করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কাজে ফিরছেন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ফাইল ছবি
ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এটিই তার সরকারি বাসভবন ও কার্যালয়। স্থানীয় সময় সোমবার সকালে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। এরপর জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবেন জনসন। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্চের শেষ দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন জনসন। ৫ এপ্রিল লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি হন তিনি। তিন রাত কাটান সেখানে। এরপর তাকে ওয়ার্ডে দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে এক সপ্তাহ হাসাপাতলে ছিলেন জনসন। অর্থাৎ প্রায় এক মাস পর সুস্থ হয়ে কাজে ফিরছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
কাজে যোগ দিতে জনসন সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব। জনসন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর খেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন রাব।
স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ফেরেন জনসন। এরই মধ্যে জনসন নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল সরকারের এমপিরা লকডাউন তুলে নিতে চাপ দিতে শুরু করেছেন। এটা স্পষ্ট যে, সরকারের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পরপরই ৫৫ বছর বয়সী জনসনকে লকডাউনের কারণে বিপর্যয়ে পড়া অর্থনীতি নিয়ে তীব্র চাপ সামলাতে হবে।
এমনিতেই স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা উপকরণ ও করোনা শনাক্তের কিটের ঘাটতি নিয়ে জনসনের সরকারের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা চলছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৩ মার্চ লকডাউন ঘোষণা করে ব্রিটেন। তিন সপ্তাহ পর পর লকডাউন পর্যবেক্ষণ শুরু করে সরকার। পরবর্তী পর্যবেক্ষণের দিন ৭ মে।
ব্রিটেনের কয়েকটি সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, জনসন হয়তো খুব শিগগির লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দেবেন। তবে দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের ঝুঁকি কীভাবে এড়ানো হবে তা নিয়ে সরকারকে প্রশ্নের মুখে পড়তেই হচ্ছে। এমন অবস্থায় রোববার ডমিনিক রাব বলেছেন, আরও কিছুদিন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার নির্দেশনা জারি থাকবে।
তবে শনিবার ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লকডাউনের নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন নাগরিকদের। খোদ সরকার দলীয় অনেক আইনপ্রণেতা অর্থনীতি সচলে বিধিনিষেধ শিথিল করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। কারণ বাজেট সংক্রান্ত পূর্বাভাসে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের অর্থনীতি ৩০০ বছরেরও বেশি সময়ে মধ্যে সবচেয়ে গভীর মন্দায় পড়তে পারে।
মন্তব্য করুন