করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে তার নার্স ছিলেন নিউজিল্যান্ডের জেনি ম্যাকজি। সুস্থ হয়ে ওঠার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যকর্মী ও বিশেষ করে তার শুশ্রূষায় কাজ করেছেন যারা তাদের।

ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের নার্স জেনি ম্যাকজি তাকে ধন্যবাদ দেয়ার বিষয়টা জেনেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর ব্যাপারটা জেনে তার নিশ্চয় আপ্লুত হওয়ার কথা। তবে জেনি ম্যাকজি বলেছেন, তিনি কোনো প্রধানমন্ত্রীর দেখাশোনা করেননি। তিনি যা করেছেন, তা একজন সাধারণ রোগী হলেও করতেন।

ধন্যবাদ দেয়ার বিষয়টিকে তিনি মূলত কৌতুক বলেই ভেবেছিলেন জেনি। নিউজিল্যান্ড টিভির সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, আমি স্রেফ মজা হিসেবেই নিয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ দেয়ার ব্যাপারটাকে। ভেবেছিলাম, আমার বন্ধুরা আমার সঙ্গে মজা করছে। প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানাতে পারেন, এটা ভাবার কোনো কারণ আছে বলে মনে হয়নি আমার।

৩৫ বছর বয়সী নার্স জেনি বলেন, আমরা ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে যেকোনো রোগীকেই সমান গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। তারা যখন আমাদের কাছে আসেন, তখন তাদের জন্য সময়টা খুবই শঙ্কার। আমরা সেভাবে গুরুত্ব সহকারে কাজ করি। প্রধানমন্ত্রীকে যখন আইসিইউতে আনা হলো, তখন তার অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক ছিল। তাকে আমরা রোগী হিসেবেই নিয়েছিলাম।

১৩ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর জনসন জেনিকে কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, তারা দুজনে টানা ৪৮ ঘণ্টা আমার শয্যাপাশে ছিল। সেসময় আমার যে কোনো কিছু হয়ে যেতে পারত। কিন্তু তারা আমাকে হতাশায় নিমজ্জিত হতে দেয়নি।

জেনি বলেন, মানুষ তাদের প্রিয়জনকে ছাড়াই মরে যাচ্ছে। আমরা তাদের পাশে তাদের হাত ধরে বসে থাকি। কিন্তু আমার মতে, তাদের প্রিয়জনদেরই উচিত তাদের পাশে থাকা।