পেরুর অর্থমন্ত্রী মারিয়া আন্তোনিয়েতা আলভা। বয়স ৩৫ বছর। ভীষণ জনপ্রিয়। তার কারণ অবশ্য প্রথমে তার সুন্দর মুখ আর মায়াকাড়া চেহারার জন্য। তবে সহজ সরল কিন্তু মানুষের প্রতি ভালবাসা এবং দৃঢ় ব্যক্তিত্বের জন্যও যে তার জনপ্রিয়তা কতটা সেটা পরিষ্কার। যেমন, সুযোগ পেলে মায়েরা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে তার সঙ্গে সেলফি তোলেন, রাস্তার হকাররা ভালোবেসে তার হাতে ব্রেসলেট তুলে দেন। শিল্পীরা তার ছবি আঁকেন ও সোসাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। টিভি চ্যানেলগুলো সাক্ষাৎকার পেতে দৌড় লাগায়। তাকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই প্রোফাইল স্টোরি করা হয়। এসবই হচ্ছে পেরুর অর্থমন্ত্রী মারিয়া আন্তোনিয়েতা আলভা ওরফে টোনির জনপ্রিয়তার নানা উদাহরণ।

করোনায় সারা বিশ্ব জর্জরিত।অর্থনৈতিক সঙ্কটে বিপর্যস্ত নানা দেশ।  তবে  গত অক্টোবরে দায়িত্বে আসা অর্থমন্ত্রী মারিয়া এই মহামারীর সময় নানা অর্থনৈতিক প্যাকেজ দিয়ে বাঁচাতে চাইছেন দেশের অর্থনীতি ও ছোট ব্যবসায়ীদের।   তার এই পদক্ষেপে দারুণ খুশি ছোট ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ নাগরিকরা। 

টোনির শিক্ষক, হার্ভার্ডের অর্থনীতির অধ্যাপক রিকার্ডো হসম্যান বলেন, টোনি না থাকলে আপনারা একেবারেই অন্য ধরনের ফলাফল দেখতেন।

পেরুর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কার্লোস অলিভারের কথায়, ‘টোনির কমিউনিকেশন স্কিল অত্যন্ত ভালো। বর্তমান অবস্থায় এটা খুব প্রয়োজনীয় ও সহায়ক হয়েছে।’

তবে টোনির জন্য কাজটা একেবারেই সহজ নয়। কারণ কয়েক জন অর্থনীতিবিদ ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, পেরুর জিডিপি ১০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পাবে। এবং বেকার হবেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। বিরোধী দলের জনকল্যাণমূলক ঘোষণার সঙ্গেও  তাঁকে লড়াই করতে হবে, বিশেষত নির্বাচন যখন আর মাত্র এক বছর বাকি। টোনি প্রথমেই নিশ্চিত করেন, আঞ্চলিক ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ যাতে বেশি খরচ করেন। তাতে স্থানীয় বিনিয়োগ বাড়ে বিপুল পরিমাণে। লাভ হয় সরকারি পরিকাঠামোর। তিনি চেয়েছিলেন, স্বাস্থ্য-শিক্ষা-পরিকাঠামোর করুণ দশার উন্নতি ঘটাতে এবং দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে। পেরুর বর্তমান আর্থিক বৃদ্ধির হার ২.২ শতাংশ।  

তার তত্ত্বাবধানে পেরুর অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। সূত্র : বিবিসি।