লকডাউনে ঘরোয়া সহিংসতা বেড়ে গেছে ইউরোপে। ঘরোয়া সহিংসতা বিষয়ে তথ্য জানানোর জন্য যে হটলাইন নাগরিকদের ব্যবহার করতে দেয়া হয়েছে, লকডাউনের সময় সেটির ব্যবহার বেড়ে গেছে।

এর কারণে হিসেবে যা বলা হয়েছে, তা হলো ঘরের বসে থাকার সময় উদ্বেগ ও উত্তেজনার কারণে অ্যালকোহল পানের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে ঘরের দুর্বল সদস্যদের ওপর।  খবর দ্য গার্ডিয়ান অনলাইনের

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপের আঞ্চলিক পরিচালক হ্যান্স ক্লুজে বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, রাশিয়া, স্পেন এবং ব্রিটেনসহ অনেক দেশ থেকে পাওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বলেন, কোভিড -১৯ মহামারিতে স্ত্রী, সঙ্গী ও শিশুদের ওপর নির্যাতন বেড়ে গেছে। 

কোপেনহেগেন থেকে এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘যদিও তথ্যের অভাব রয়েছে, তবে সদস্য দেশগুলোতে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে স্ত্রী,  সঙ্গী ও শিশুদের কাছে পাওয়া জরুরি কলের পারিমাণ ৬৯   ভাগ বেড়ে গেছে।

সংস্থাটি বলেছে, বিষয়টিকে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত।

ক্লুজে বলেন, কিছু দেশ কীভাবে এই সমস্যাটি সমাধান করবে তার উদাহরণ দিয়েছিল। ইতালির কাছে ফোন কল ছাড়াই সহায়তা চাইতে একটি অ্যাপ রয়েছে, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্তরা কোড শব্দের মাধ্যমে স্পেন এবং ফ্রান্সের ফার্মাসিস্টদের সতর্ক করতে পারে।

ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামের হোটেলগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এবং গ্রিনল্যান্ড বাচ্চাদের বাড়ি নিরাপদ করার জন্য অ্যালকোহল বিক্রি সীমিত করেছে।