আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে চার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এই সময়ে অন্তত ১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা নিশ্চিত করতে চায় ব্রিটিশ-সুইডিশ এই ওষুধ কোম্পানিটি। মোট তিনটি ক্লিনিক্যাল ধাপে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ভ্যাকসিন উন্নয়নের কাজ করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

এসব ধাপে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও এক শিশুর শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের বিষয়টিও রয়েছে। খবর বিবিসির

অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্যাসকাল সরিয়ট বলেছেন, যতদ্রুত সম্ভব করোনার ভ্যাকসিন তৈরি ও এই ভ্যাকসিন যাতে সর্বত্র পাওয়া যায়, সেজন্য সব ধরনের চেষ্টা করে যাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন অর্ধকোটিরও বেশি। মারা গেছেন ৩ লাখ ২৮ হাজার ২২৭ জন।
করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনে গত এপ্রিলে অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে পার্টনার হিসেবে নাম ঘোষণা করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ভ্যাকসিন উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করছে যুক্তরাজ্যের জেনার ইনস্টিটিউট ও অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপ। এর পেছনে অর্থায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র। ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে তারা।

গত মাসে দক্ষিণ ইংল্যান্ডের এক হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ ঘটায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা। পরে সর্বশেষ ঘোষণায় ওষুধ কোম্পানিটি জানায়, এই পরীক্ষায় ফলাফল ইতিবাচক পাওয়া গেলে পরবর্তীতে আরও একাধিক দেশে এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলবে। তবে ওই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল এখনও প্রকাশ করেনি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তবে কোম্পানি বলেছে, সম্ভবত না-ও কাজ করতে পারে এই ভ্যাকসিন।

এদিকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উন্নয়নে গত রোববার ৬৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ডের (৭ কোটি ৯০ লাখ  ডলার) অর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। সেপ্টেম্বরের শুরুতে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বিশ্ব বাজারে ছাড়ার আশা করছে দেশটি।