বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারির কেন্দ্রবিন্দু এখন দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এরমধ্যে করোনাভাইরাসে উদ্বেগজনক হারে মারা যাচ্ছে দেশটির আদিবাসীরা। ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই আমাজনের গহীন অরণ্যের। তাদের এলাকাগুলোতে হাসপাতাল ও অন্যান্য মৌলিক অবকাঠামোর অভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। খবর সিএনএন ও আলজাজিরার।

ব্রাজিলে আদিবাসীদের করোনায় আক্রান্ত ও প্রাণহানির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে স্থানীয় আদিবাসীদের সংগঠন অ্যাডভোকেসি গ্রুপ আর্টিকুলেশন অব ইনডিজেনাস পিপলস অব ব্রাজিল (এপিআইবি)। সংস্থাটি রোববার জানিয়েছে, ব্রাজিলের ৩৮টি আদিবাসী অঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় আদিবাসী এলাকাগুলোতে করোনায় মৃত্যুর হার দ্বিগুণ।

এপিআইবি জানায়, আদিবাসীদের ৯৮০ জনের বেশি করোনা শনাক্তের খবর নথিবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ, আদিবাসীদের মধ্যে করোনায় মৃতের হার ১২ দশমিক ৬ শতাংশ। অথচ জাতীয় পর্যায়ে এ হার ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।

ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের আদিবাসী স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, গহীন আমাজনের একটি ক্ষুদ্র অংশের গ্রামে এ পর্যন্ত ৬৯৫ জন আক্রান্ত এবং ৩৪ জন মারা গেছে। এরা শহরে থাকা আদিবাসী নয়।

গহীন আমাজনে খনি শ্রমিকদের অনুপ্রবেশের মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রথম আদিবাসীদের মধ্যে ছড়ায় বলে জানিয়েছে দ্য সোসিও এনভায়রনমেন্টাল ইন্সটিটিউট (আইএসএ)।

করোনার সংক্রমণে ব্রাজিল এখন নতুন হটস্পট বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মূলত শুরু থেকে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ব্রাজিল।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ৪৭ হাজার ৩৯৮। এর মধ্যে ২২ হাজার ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।