পাকিস্তানের সাবেক প্রধামনমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ পরিবারের সদ্যদের সঙ্গে লন্ডনের একটি ক্যাফেতে চা পান করছেন- সম্প্রতি এমন একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর ফলে নওয়াজের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতাকর্মীরা তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে দুর্নীতির মামলায় আদালাতের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন। সোমবার এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শনিবার ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে দেখা গেছে, পাকিস্তানের তিন বারের প্রধামন্ত্রী ৭০ বছর বয়সী নওয়াজ লন্ডনের একটি সড়কের পাশে ক্যাফেতে বসে চা পান করছেন। সেখানে তার নাতনিদেরও দেখা গেছে। এ সময় নওয়াজকে নীল রঙের একটি জামা ও টুপি পরে থাকতে দেখা গেছে। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমল-এন) এই নেতার শারীরিক অবস্থাও ভালো মনে হয়েছে।

বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলার আসামী নওয়াজকে ক্ষমতাসীন তেহরিক-ই-ইনসাফ সরকারের প্যানেল চিকিৎসকরা চিকিৎসার জন্য বিদেশি যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এরপর আদালত তাকে চার সপ্তাহের জন্য বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার অনুমতি দেন। এ নির্দেশনার পর গত বছর নভেম্বরে পাকিস্তান ছেড়ে লন্ডন যান নওয়াজ।

নওয়াজের চিকিৎসকদের দাবি, নানা জটিল রোগে ভুগছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি লন্ডনের রয়াল ব্রম্পটন অ্যান্ড হেয়ারফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শরীফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ জানিয়েছেন, লন্ডনে তার বাবার হৃদতন্ত্রে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত হলেও আপাতত করোনাভাইরাসের কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে।

তবে পাকিস্তানের কয়েকজন মন্ত্রী নওয়াজের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের দাবি, নওয়াজ লন্ডনে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমনকি করোনাভাইরাস মহামারির এই সময় তিনি মাস্ক পরারও প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন না।

পাকিস্তানের ইমরান খানের উপদেষ্টা শাহবাজ গিলের দাবি, আদালতের কাছে মিথ্যা কথা বলে বিদেশে গিয়েছেন নওয়াজ শরীফ।

তবে শনিবার ভাইরাল হওয়া ছবিটির বিষয়ে মরিয়ম নওয়াজ বলেছেন, তার বাবাবকে অপদস্থ করতেই কোনো কোনো গোষ্ঠী তৎপরতা শুরু করেছে। নওয়াজ শরীফ ও তার পরিবারের নারী সদস্যদের ছবি তুলে বেড়ানো ওই গোষ্ঠীর কাছে খুব কঠিন কিছু নয়। এর আগেও এমনটা হয়েছে।

গত জানুয়ারিতে লন্ডনের একটি ক্যাফেতে নওয়াজ শরীফের চা পান করার ছবি ভাইরাল হয়েছিল। তখন পিএমএল-এন’র মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেছিলেন, চিকিৎসকের পরামর্শেই তিনি বাইরে গিয়েছিলেন।