- আন্তর্জাতিক
- করোনার প্রকোপ কমায় বিপাকে টিকা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলো
করোনার প্রকোপ কমায় বিপাকে টিকা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলো

করোনার প্রকোপ কমে গেলে বিশ্ব জুড়ে স্বস্তি নেমে আসার কথা। সব দেশে সমান না হলেও পৃথিবীর কিছু কিছু দেশে প্রকোপ কিছুটা কমে এসেছে বটে। কিন্তু এর ফলে বিপাকে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। টিকা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাজ চালিয়ে যেতে সমস্যায় পড়েছে।
ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ব্যাপক আকারের লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব নীতির কারণে কিছু দেশে করোনার সংক্রমণ এতোটাই কমে গেছে যে, টিকার সত্যিকারের পরীক্ষার জন্য যথেষ্ট রোগী পাওয়া যাচ্ছে না। তাই টিকার প্রত্যাশিত ফল পেতে করোনার নতুন হটস্পট আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার দিকে ঝুঁকছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব হেলথের পরিচালক ফ্রান্সিস কলিন্স বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা যদি হটস্পটগুলোর ব্যাপক সংক্রমণ বন্ধ করতে সফল হই, তাহলে এটা টিকার পরীক্ষার জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়বে।’
করোনাভাইরাসে বিশ্বে এ পর্যন্ত ৬০ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার। এই মহামারি দূর করতে টিকার উন্নয়নের জন্য কাজ করছে বিশ্বের প্রায় ১০০ প্রতিষ্ঠান। অবশ্য নতুন একটি রোগ প্রতিরোধে দ্রুত টিকার উন্নয়ন একটি পুরোপুরি জটিল প্রক্রিয়া। এর ওপর আবার মহামারির সময় আক্রান্তের সংখ্যা কমবেশি হলে টিকার ট্রায়ালকে আরও জটিল করে তোলে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
টিকার ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের দুই ভাগে ভাগ করা হয়- চিকিৎসা গ্রুপ ও নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ। চিকিৎসা গ্রুপকে ট্রায়ালে থাকা টিকা দেওয়া হয় এবং নিয়ন্ত্রণ গ্রুপকে দেওয়া হয় ওষুধি গুণ ছাড়া (প্লাসিবো) টিকা। উভয় দলকেই ভাইরাস সংক্রমণ এলাকায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়ন্ত্রণ গ্রুপের মধ্যে সংক্রমণের হার বেশি হলে বোঝা যাবে ট্রায়ালে থাকা টিকা অন্য গ্রুপের ওপর কাজ করছে।
ব্রিটেনের ওয়্যারউইক বিজনেস স্কুলের ওষুধ বিশেষজ্ঞ আইফার আলি বলেন, ‘এই কাজের জন্য সমাজের মধ্যে মানুষের সংক্রমণের ঝুঁকি প্রয়োজন। ভাইরাস যদি সাময়িকভাবে পুরোপুরি চলে যায়, তাহলে পরীক্ষা পুরোপুরি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।’
মন্তব্য করুন