পাল্টে যাবে যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদের বর্তমান সংজ্ঞা!

পাল্টে যাবে বর্ণবাদের প্রচলিত সংজ্ঞা। কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েকে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বে বর্ণবাদবিরোধী যে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তারই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে এর পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। কৃষ্ণাঙ্গ এক তরুণীর পরামর্শে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ অভিধান ‘দ্য আমেরিকান রেফারেন্স ডিকশনারি’ হিসেবে খ্যাত মেরিয়াম-ওয়েবস্টার কর্তৃপক্ষ বর্ণবাদের সংজ্ঞা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর এএফপি। বিবিসির।

ওয়েবস্টারে এখন বর্ণবাদ শব্দটির তিনটি সংজ্ঞা রয়েছে। প্রচলিত বিশ্বাসটি হলো প্রাথমিকভাবে মানবেগাষ্ঠী সমবৈশিষ্ট্য ও সক্ষমতার অধিকারী। কিন্তু তাদের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হয় বিশেষ দক্ষতা বা অন্তর্নিহিত শ্রেষ্ঠত্বের ধারণা থেকে।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংজ্ঞায় বর্ণবাদ অনুমানভিত্তিক একটি তত্ত্ব বা রাজনৈতিক প্রোগ্রাম এবং বর্ণবাদভিত্তিক একটি রাজনৈতিক বা সামাজিক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ড্রেক ইউনিভার্সিটি থেকে সম্প্রতি স্নাতক সম্পন্ন করা তরুণী কেনেডি মিচাম বলেন, বর্তমান সংজ্ঞায় বর্তমান সংজ্ঞায় ভিন্ন বর্ণের মানুষরা যে নিগ্রহের শিকার হন, তা যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি। তিনি ১৮৪৭ সাল থেকে ডিকশনারি প্রকাশ করে আসা মেরিয়াম-ওয়েবস্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই শব্দের সংজ্ঞা হালনাগাদের পরামর্শ দেন।

মেরিয়াম-ওয়েবস্টারের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক পিটার সোকোলোওস্কি বলেন, ‘দ্বিতীয় সংজ্ঞাটির সঙ্গে কেনিডির দেওয়া প্রস্তাবিত সংশোধনীর মিল রয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের আগামী সংখ্যায় আরও স্পষ্ট করে সংজ্ঞাটি পুনর্নির্ধারণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করব।’

বর্তমান সংখ্যায় বর্ণবাদের দ্বিতীয় সংজ্ঞায় বলা হচ্ছে, ‘বর্ণবাদ হলো একটি মতবাদ বা রাজনৈতিক কর্মসূচি, যা বর্ণবাদী চিন্তা-ভাবনার ওপর ভিত্তি করে এবং বর্ণবাদী চিন্তা-ভাবনা কার্যকর করার লক্ষ্যে তৈরি। এটা হলো বর্ণবাদী মনোভাবের ভিত্তিতে তৈরি একটি রাজনৈতিক বা সামাজিক ব্যবস্থা।’

কেনেডি মিচাম বলেন, ‘আমি মূলত তাদের বলেছি, তারা যেন এখানে বিশেষ একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত নিগ্রহের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করেন।’ 

ওয়েবস্টাবের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শব্দটির সংজ্ঞা পুননির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।