বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের অদক্ষতার কারণে ভারত-চীন সীমান্ত সঙ্কট শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। মঙ্গলবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে উদ্বোধনী ভাষণে কংগ্রেস সভানেত্রী বলেন, ‘দেশ নানাভাবে সঙ্কটদীর্ণ। আর্থিক মন্দা, করোনা মহামারি আর সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনা। এর সবই হয়েছে এনডিএ সরকারের অদক্ষতার জন্য। এখন নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দেশবাসীর মধ্যে আশঙ্কা জন্মেছে সরকারি ব্যর্থতা নিয়ে। ভবিষ্যৎ এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্ত আমার আশা, কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক সূত্রে উদ্যোগ নিয়ে দেশের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্যতা রক্ষা করা হবে।’ খবর এনডিটিভির।

মঙ্গলবার কংগ্রেসের এই শীর্ষ নীতি নির্ধারক কমিটি নানা বিষয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করে। প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় বৈঠকের পর ওয়ার্কিং কমিটির এই বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। গত এক সপ্তাহ ধরে গালোয়ান সংঘাতের নেপথ্যের কারণ জানতে চেয়ে সরকারকে প্রশ্ন করে চলেছে বিরোধী দলগুলো। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা প্রধানমন্ত্রীর দফতর, কোনও জায়গা থেকে সদুত্তর মেলেনি।  

শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের ভেতরে কেউ ঢোকেনি বা আমাদের কোনও ছাউনিও দখল হয়নি।’

কংগ্রেস এই বিবৃতিটিকেই তুলে ধরে প্রশ্ন করেছে, তাহলে কি প্রধানমন্ত্রী বলতে চাইছেন ভারতীয় অঞ্চলকে চীনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে? শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদির মন্তব্যের ‘অপব্যাখ্যা' করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

রোববার রাহুল গান্ধী একটি বিদেশি প্রকাশনার নিবন্ধ পোস্ট করে বলেছিলেন: ‘নরেন্দ্র মোদি আসলে সারেন্ডার মোদি।’

কংগ্রেস সাংসদ টুইট করেছিলেন: ‘এই বিরোধের সময় কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করছে চীন? প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য বিষয়ে তিনি চীনের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের একটি সংবাদ প্রতিবেদনও পোস্ট করেন। ওই পোস্টে চীন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছে, এমন একটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছিল।।