- আন্তর্জাতিক
- ‘যুক্তরাষ্ট্রকে প্রায় শেষ করে দিয়েছে করোনা’
‘যুক্তরাষ্ট্রকে প্রায় শেষ করে দিয়েছে করোনা’

প্রতীকী ছবি
মহামারি করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে একদিকে যেমন লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ও মারা যাচ্ছে, তেমনি অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়ছে দেশটি। এই এক ভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রকে প্রায় শেষ করে দিয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির কংগ্রেসের শুনানিতে এ মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) পরিচালক । খবর বিবিসি ও সিএনএনের।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৭৩ মানুষের মৃত্যু হয়েছে আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ২৪ হাজার ১৬৮ । এই একদিনেই নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৩৬ হাজার। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নিউইয়র্কসহ দেশটির কিছু এলাকায় করোনা সামান্য নিয়ন্ত্রণে এলেও অর্ধেকের বেশি অঙ্গরাজ্যে আবারও পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কংগ্রেসের বাণিজ্য ও জ্বালানি বিষয়ক কমিটির শুনানিতে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড বলেন, ভাইরাসটি যুক্তরাষ্ট্রকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ভাইরাসটি প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে করোনা জাতিকে শেষ করে দিয়েছে। এক ভাইরাসেই দেশের ৭ লাখ কোটি ডলার কেড়ে নিয়েছে।
একই শুনানিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করোনা উপদেষ্টা ও দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে কিছু অঙ্গরাজ্যে করোনাভাইরাসের বিরক্তিকর উত্থান দেখছে জাতি। সামনের দিনগুলোতে এ সংক্রমণ আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।
করোনায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, ম্যাসাচুসেটস, কানেকটিকাটসহ বেশকিছু স্টেটে সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। তবে ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, ওহাইয়োসহ ২৬ স্টেটে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন তরুণ জনগোষ্ঠী, যাদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
ডা. ফাউচি বলেন, এখনও বহু লোক ‘একত্রে জড়ো হবেন না’ বলে আমাদের পরামর্শে সাড়া দেন না। মাস্ক পরার বিষয়টি কিছু লোক কানেই তুলছে না। এ বিষয়গুলো বিরক্তিকর।
সম্প্রতি ওকলাহোমায় এক নির্বাচনী জনসভায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা যাতে কম আসে, সেজন্য পরীক্ষা কমিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি তার টিমকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে করোনা টেস্টিং কমিয়ে দেওয়ার জন্য জন্য কাউকে নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলেও জানান ডা. ফাউচি। তিনি বলেন, আমি যতদূর জানি, আমাদের কাউকে পরীক্ষা কমিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়নি। প্রকৃতপক্ষে, আমরা পরীক্ষার হার আরও বাড়িবে দেব।
মন্তব্য করুন