হংকংয়ের স্বাধীনতাকে উপেক্ষা করে চীন নতুন নিরাপত্তা আইন আরোপ করায় দেশটির ক্ষমতাসীন দল চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কর্মকর্তাদের ভিসায় নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। আগের দিন হংকংয়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ‘হংকং স্বায়ত্তশাসন বিল’ পাস করে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট। এদিকে চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ভুল। তাদের এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের। 

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও বলেন, নতুন নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনকে হুমকির মুখে ফেলায় চীনকে শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি হিসেবে বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আওতায় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ‘বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের’ বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তবে চীনা কর্মকর্তাদের নাম নির্দিষ্ট করে বলেননি পম্পেও। 

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মে মাসের শেষ দিকে নিজেদের আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ে ‘দেশদ্রোহিতা বা রাষ্ট্রদ্রোহিতা’ ঠেকানোর জন্য ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি ল’ অনুমোদন দেয় চীনের পার্লামেন্ট। আগামীকাল রোববার শুরু হওয়া পার্লামেন্ট অধিবেশনে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটি নতুন আইন নিয়ে আলোচনা করবে। চীনের এই পার্লামেন্ট অধিবেশন বসার আগেই বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র। 

শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট চীনকে শাস্তি দিতে ‘হংকং স্বায়ত্তশাসন বিল‘ পাস করেছে। এর আওতায় হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের টুঁটি চেপে ধরার চীনের প্রচেষ্টায় কেউ সমর্থন দিলে সেই ব্যক্তি বা কোম্পানি নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বে। হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন খর্বের কোনোরকম চেষ্টায় সমর্থন দেওয়া কারো সঙ্গে কোনো ব্যাংকের লেনদেন থাকলে সেসব ব্যাংকের ওপরও আরোপ হবে নিষেধাজ্ঞা। ওই বিলের আওতায় চীনা নেতাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা জানালেন পম্পেও। 

তবে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ আখ্যা দিয়ে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছে। টুইটারে তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে দ্রুত এই ভুল সংশোধনের আহ্বান করছি আমরা। তারা যেন এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করে।’