- আন্তর্জাতিক
- করোনা নিয়ে ‘গুরুতর সমস্যায়’ যুক্তরাষ্ট্র
করোনা নিয়ে ‘গুরুতর সমস্যায়’ যুক্তরাষ্ট্র

ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসের কারণে ‘গুরুতর সমস্যায়’ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত দুই মাসের মধ্যে হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্ক ফোর্সের প্রথম ব্রিফিংয়ে শনিবার এ মন্তব্য করেছেন দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি। ১৬টি অঙ্গরাজ্যে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তিনি এ হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এটা শেষ করার একমাত্র উপায় হলো সবার একসঙ্গে কাজ করা। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।
যুক্তরাষ্ট্রে শুক্রবার একদিনে রেকর্ড ৪০ হাজারের বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে। সরকারি হিসেবে দেশটিতে সব মিলিয়ে ২৪ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে গণহারে করোনা পরীক্ষার ব্যাপারে জোর আহ্বান জানায় করোনা বিষয়ক টাস্কফোর্স। এমনকি যাদের উপসর্গ নেই তাদেরও পরীক্ষার আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।
ব্রিফিংয়ে ডা. ফাউসি বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমরা নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। দেশের একটি এলাকায় যা হচ্ছে, তার প্রভাব পড়ছে অন্যদের উপর। বর্তমান সংক্রমণ বাড়ার কারণ হিসেবে ফাউচি বলেন, বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের প্রত্যেকটি ক্ষেত্র সম্ভবত আগেভাগেই খুলে দেয়া হচ্ছে। সঠিক সময়ে খুললেও জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। তাই করোনা একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। এই মহামারি ঠেকাতে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা দরকার।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের করোনা রেসপন্স কোঅর্ডিনেটর ডা. ডেবোরাহ ব্রিক্স দেশের তরুণদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আগে আমরা যেখানে তাদের ঘরে থাকতে বলেছি, এখন বলছি তাদের করোনা পরীক্ষা করাতে। তিনি আরো বলেন, করোনা পরীক্ষায় এই ‘বড় পরিবর্তন’ হলে কর্মকর্তারা খুঁজে পাবেন ‘উপসর্গহীন ও অল্প আক্রান্তদের, যাদের আগে আমরা কখনো খুঁজিনি।’
ফ্লোরিডা, টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, এরিজোনাসহ দেশের অর্ধেকের বেশি রাজ্যে করোনা বিস্তারের যে ঢেউ দেখা যাচ্ছে, তা আগামী কয়েক সপ্তাহে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেন বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য করুন