ভারতে করোনার চিকিৎসায় ডেক্সামেথাসন ব্যবহারের অনুমতি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসায় ডেক্সামেথাসন ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার।

শনিবার ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের জন্য মিথাইলপ্রেডনিসোলনের পরিবর্তে স্বল্পমূল্যের ওই ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয় বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি ব্রিটেনের এক গবেষণায় গুরুতর অসুস্থ করোনার রোগীদের ওপর ডেক্সামেথাসন প্রয়োগ করে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পান বিজ্ঞানীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই ওষুধের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংশোধিত গাইডলাইনে এই ওষুধ ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে। আর্থারাইটিসের মতো রোগে রোগীদের উপশম দিতে এটি কার্যকর; অনেক ক্ষেত্রে কাজে দিচ্ছে রোগীর অক্সিজেন সাপোর্ট খুলতেও।

বিবিসি জানিয়েছে, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক ডেক্সামেথাসনের ওপর গবেষণা চালিয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় ২ হাজার করোনা রোগীর দেহে ডেক্সামেথাসন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল। তা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি ৪০ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশে কমে আসে। আর যেসব রোগীর অক্সিজেন গ্রহণের প্রয়োজন হয়, তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি ২৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে কমে আসে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেখা গেছে প্রতি ২০ জন করোনারোগীর মধ্যে ১৯ জনেরই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয় না। যারা হাসপাতালে ভর্তি হন, তাদের মধ্যেও অধিকাংশই সুস্থ হয়ে যান। তবে কারও কারও অক্সিজেন ও ভেন্টিলেশন সুবিধার প্রয়োজন হয়। ডেক্সামেথাসন এই উচ্চ ঝুঁকির রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেই উপকারী হিসেবে পাওয়া গেছে।

এদিকে ভারতজুড়ে একদিনের মধ্যে আরও ১৮ হাজার ৫৫২ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশটিতে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৫৩ জন। একদিনের মধ্যে আরও ৩৮৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ফলে দেশে মোট ১৫ হাজার ৬৮৫ জনের প্রাণ কেড়েছে এই  ভাইরাস।