লাতিন আমেরিকায় করোনার হটস্পট ব্রাজিলে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৭২ হাজার ১৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৬৩১ জন। একই সময়ে নতুন করে ২৪ হাজার ৮৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬৮১ জন। দেশটিতে মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ৩.৯ শতাংশ। সেখানে গত ৪ মাসে ১১ লাখ ২৩ হাজার ২০৪ জন কভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

ব্রাজিলে করোনা মহামারির মূলকেন্দ্র সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য সাও পাওলো। এখানে ৩ লাখ ৭১ হাজার ৯৯৭ জন আক্রান্ত এবং ১৭ হাজার ৮৪৮ জন মারা গেছেন। শুধু ব্রাজিলই নয়, গোটা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোও করোনার ভয়াবহতা দেখছে। ঘটছে প্রতিদিনই রেকর্ড সংক্রমণ। এতে করে করোনাকে বাগে আনতে দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে রয়েছে যত দুশ্চিন্তা। ফলে, এমন অবস্থার মধ্যদিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে। 

এর মধ্যে ব্রাজিলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা, যা যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে। অপরদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বিতীয় দফায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। 

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ২৮ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৪ জনে। এছাড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার ২৯৬ জনে।

তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩৩ লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৬ জনের। তাদের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল।