বেশিদিন আগের কথা নয়, পাকিস্তানভিত্তিক অপরাধী সিন্ডিকেট ও সন্ত্রাসবাদীরা সীমান্ত এলাকায় উটের মাধ্যমে মাদক, অস্ত্র এবং অন্যান্য অবৈধ পণ্য পাচার করত। এখন একই কাজে তারা ড্রোন ব্যবহার করছে।

সীমান্ত এলাকায় পাচার কাজে ড্রোনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ভারতের সুরক্ষা সংস্থাগুলো একটি স্মার্ট সীমান্ত ব্যবস্থাপনার অংশ হিসাবে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি অবলম্বনের উপায় খুঁজছে। কেননা, সীমান্ত সুরক্ষায় ড্রোন জ্যামার খুব বেশি কার্যকর নয়। এ কারণে নজরদারি বাড়াতে ও ড্রোন শনাক্ত করতে তারা কার্যকর বিকল্প পথ বের করার চেষ্টা করছে।

সর্বশেষ পাকিস্তানি ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্র পাচারের ঘটনা শনাক্ত হয় গত ২০ জুন। এদিন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) জম্মুর হিরা নগর সেক্টরের রথুয়া গ্রামের কাছে একটি ড্রোন গুলি করে নামায়। ড্রোনটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি এম-৪ রাইফেল, ২টি ম্যাগাজিন, ৬০ রাউন্ড বুলেট এবং ৭টি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়।

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী হীরা নগর সেক্টরে গুলি করে ড্রোন নামানোর ঘটনা এটিই প্রথম। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এখনও এই চালানোর  প্রাপক শনাক্ত করতে পারেনি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তারও হয়নি।

এর আগে ৩ ও ৪ জুন পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরের ডেরা বাবা নানক এলাকার ধর্মকোট রন্ধাওয়া গ্রামে আরেকটি অস্ত্রের চালান নামানোর ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সূত্র অনুযায়ী, ওই চালানে দুটি এপমি-৯ বন্দুক, ৬ টি পিস্তল,  ৪ লাখ জাল মুদ্রা ছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠন ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্সে’র প্রধানের নির্দেশে চালানটি পাঠানো হয়েছিল।