একজন ধনকুবের, আরেকজন চলচ্চিত্র প্রযোজক। তারা প্রায়ই নিউইয়র্কের একটি রেস্তোরাঁয় সময় কাটাতে আসতেন। পরবর্তী সময়ে দুইজনই ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন, নারী পাচারসহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত হন। তাদের কৃতকর্মে এতটাই ক্ষুদ্ধ হন ওই রেস্তোরাঁর মালিক যে, তারা রেস্তোরাঁর যে টেবিলটিতে বসতেন সম্প্রতি সেটা জ্বালিয়ে দিয়েছেন তিনি। খবর সিএনএনের

অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিরা হলেন মার্কিন ধনকুবের জেফরি এপস্টেইন, আরেকজন হলিউডের চলচ্চিত্র প্রযোজক হার্ভে ওয়েনস্টেইন। তারা যে রেস্তোরাঁয় যেতেন সেটা নিউইয়র্কে সাউদাম্পটনে অবস্থিত। এটির নাম সেভেনটি ফাইভ মেইন। রেস্তোরাঁর মালিক জানান, তার রেস্তোরাঁ থেকে ওই দুইজনের নাম চিরতরে মুছে ফেলতেই তিনি তাদের ব্যবহৃত টেবিলটা পুড়িয়ে ফেলেছেন।

এপস্টেইন, যার বিরুদ্ধে নাবালিকা ধর্ষণ ও পাচারের অভিযোগে একাধিক মামলা চলছিল, বিচারের অপেক্ষায় থাকা অবস্থাতেই তার মৃত্যু হয় ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে নিউইয়র্কের একটি কারাগারে। অবশ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ওই সময় জানিয়েছিল- তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

অন্যদিকে প্রাক্তন হলিউড প্রযোজক ওয়েইনস্টাইনকে এ বছরের মার্চে এক নারীকে যৌন নির্যাতন ও আরেক নারীকে ধর্ষণ করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ২৩ বছরের কারাদণ্ড দেন সেখানকার আদালত।

মেইন ফাইভ রেস্তোরাঁর মালিক ৩৯ বছর বয়সী এরদেম জানান, জেফরি এপস্টেইন ও হার্ভে ওয়েনস্টেইন যখনই ওই রেস্তোরাঁয় আসতেন তারা নির্দিষ্ট একটি টেবিলেই বসতেন।

তিনি জানান, যখন তিনি ভাবতেন, জেফরি এপস্টেইন এই টেবিলে বসে থাকতেন, তখনই তার মনে হতো ওটা পোড়ানো দরকার। তার রেস্তোঁরায় এমন লোকদের দাগ লাকুক এটা তিনি চাননি।

এরদেম বলেন, প্রথমে হাতুরি দিয়ে টেবিলটা ভেঙে দিয়েছি। তারপর সেটি জ্বালিয়ে ময়লার স্তুপে ফেলে দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, টেবিলটা জ্বালিয়ে দিয়ে ভালো লাগছে। এখন আর ওই দুজনের কথা ভাবতে হবে না।

তিনি জানান, এই কাজের মাধ্যমে সেভেনটি ফাইভ মেইন রেস্তোরাঁয় আসা সব গ্রাহককে তিনি একটি বার্তা দিয়েছেন। তা হলো- অশুভ শক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া।