- আন্তর্জাতিক
- ফ্রান্সে পাবলিক প্লেসে মাস্ক না পরলে জরিমানা
ফ্রান্সে পাবলিক প্লেসে মাস্ক না পরলে জরিমানা

ফাইল ছবি
মাস্ক পরলে করোনা সংক্রমণ কমানো যায়, গবেষকরা এমন কথা বারবার বলে আসলেও মাস্ক পরায় আপত্তি মানুষের। খোদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত মাস্ক পরে স্বস্তিবোধ করেন না বলে জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ফাউসি হুশিয়ার করে দিয়েছে, মাস্ক না পরলে দেশটির অবস্থা বর্তমানের চেয়ে আরো বেশি খারাপ হতে পারে। তবে কিছু কিছু দেশ খুব কড়াকড়িভাবেই নিচ্ছে মাস্ক পরার বিষয়টাকে। এর মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্সও।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ২৪ জানিয়েছে, ফ্রান্সে গণপরিবহনসহ পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ নিয়ম না মানলে ১৩৫ ইউরো জরিমানা হতে পারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ হাজার ১১৭ টাকা। করোনার দ্বিতীয় ধাপের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গত সপ্তাহেই মাস্ক বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জিয়ান ক্যাসটেক্স। আজ সোমবার থেকে জরিমানার এ নিয়ম কার্যকর হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারসের হিসাব অনুযায়ী, ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ হাজার ১৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনার ধকল কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭৯ হাজার ২৩৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়া জুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আমেরিকার দুই মহাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণ এখনও দ্রুত বাড়ছে। অন্যদিকে ইউরোপকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে করোনা কিছুটা স্তিমিত হলেও সেখানে আবারও নতুন করে রোগটির প্রাদুর্ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, এখন আক্রান্তের পর সুস্থ হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে।
মন্তব্য করুন