জিতলে তো দুই আঙুল উঁচিয়ে ‘ভি’ চিহ্ন। আর হারলে? কেউ মেনে নেন, কেউ মানতে চান না। আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফল বিপেক্ষ গেলে কী করবেন ট্রাম্প? মেনে নেবেন তো? সে প্রতিশ্রুতি এখনই দিচ্ছেন না রিপাবলিকান দলের এই ধনকুবের প্রেসিডেন্ট। বললেন, সে তখন দেখা যাবে। এখনই তা নিয়ে কিছু বলবেন না তিনি।

রোববার ফক্সনিউজের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন ক্রিস ওয়ালেস। ২০১৬ সালের নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগেও নির্বাচনে হেরে গেলে মেনে নেবেন কিনা জানতে চাওয়া হয়েছিল। তখন এর সরাসরি জবাব দেননি তিনি। এবারও সে প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন। উত্তরও দিলেন ২০১৬-এর মতো করে। বললেন, হেরে গেলে মেনে নেব, সেটা বলার সময় এখনো আসেনি। 

‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ স্লোগান নিয়ে এবারও নির্বাচনী লড়াইয়ে শামিল ডোনাল্ড টাম্প।  তবে গতবার তিনি ছিলেন আনকোরা এক নতুন প্রার্থী। মানুষের মধ্যে আগ্রহ ছিল তাকে নিয়ে। হয়তো প্রত্যাশা ছিল, নতুন মুখের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নিশ্চয় তার নতুন ঝোলা থেকে বের করে এমন কিছু দেখাবেন, যা নতুন আশা-ভরসার  প্রতীক হয়ে আসবে নাগরিকদের সামনে। কিন্তু চারবছর পর ট্রাম্প আর নতুন মুখ নন। তাকে জানা হয়ে গেছে আগ্রহীদের। প্রত্যাশার নয়, ট্রাম্পের দিকে সবার দৃষ্টি এখন মূল্যায়নের।

ট্রাম্প হয়তো বুঝতে চাইছেন না কিংবা বুঝতে পারছেন না যে, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডেমোক্রেটিক পার্টির জো বাইডেন তাকে পেছনে ফেলে অনেকটা গিয়ে গেছেন। দিনে দিনে ব্যবধান বাড়ছে দুজনের মধ্যে। তবে এসব দেখেও দেখছেন না ট্রাম্প। বরং এসব জরিপকে ভুয়া আখ্যা দিয়ে বলেছেন, হোয়াইট হাউজের জরিপে তিনিই এগিয়ে আছেন। 

৩ নভেম্বরের নির্বাচনের ফল যাই হোক, মেনে নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাকে দেখতে হবে। দেখুন... আমাকে দেখতে হবে। না, আমি এখনই হ্যাঁ বলতে যাচ্ছি না, আবার নাও বলছি না। গতবারও আমি তা করিনি।’

চার বছর আগের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গেও প্রার্থিতার লড়াইয়ের শেষ দিকে ট্রাম্প জানান, ডেমোক্রেটরা জিতলে তা না মেনে নেবেন না।

প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যই মনে করেন না ট্রাম্প। তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে মন্তব্য করলেন। বললেন, ‘বাইডেন প্রেসিডেন্ট হলে তো দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।’

তিনি বাইডেনের সাক্ষাৎকারদানের যোগ্যতাকেও চ্যালেঞ্জ করে বসেন। ট্রাম্পকে যে ধরনের সাক্ষাৎকার দিতে হচ্ছে এবং যে ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, বাইডেনকে এসব প্রশ্নের জবাব দিতে হলে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হলে বাইডেন ‘তার মাকে ডেকে’ পালাবেন বলেও রসিকতা করেন ট্রাম্প।