- আন্তর্জাতিক
- রাশিয়ার সঙ্গে করোনার নতুন ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা চলছে: ডব্লিউএইচও
রাশিয়ার সঙ্গে করোনার নতুন ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা চলছে: ডব্লিউএইচও
সম্প্রতি রাশিয়ার অনুমোদন দেওয়া কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বিষয়ে দেশটির সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আলোচনা চলছে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও’র মুখপাত্র তারিক জাসারেভিক জানান।
তিনি বলেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যে কোনো ভ্যাকসিনের প্রাক যোগ্যতার মধ্যে সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্যের কঠোর পর্যালোচনা এবং মূল্যায়ন জড়িত। রাশিয়ার ভ্যাকসিনের বিস্তারিত তথ্য নিয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনা চলছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার
জাসারেভিক বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যে গতিতে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য চেষ্টা করছে তা আশাব্যাঞ্জক। বিশ্বের যে প্রান্তেই ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হোক না কেন তা সারা বিশ্বে পৌঁছে দেওয়া ডব্লিউএইচও এর প্রধান কর্তব্য।
মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, প্রথম দেশ হিসেবে নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবহার উপযোগী টিকা তৈরি করেছে রাশিয়া। এটিই বিশ্বের প্রথম করোনার টিকা। এরই মধ্যে টিকার অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ের দেহে টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। এই টিকা স্থায়ী ও টেকসইভাবে করোনা প্রতিরোধে সক্ষম।
বিশ্বজুড়ে করোনার টিকার জন্য যখন মানুষ অপেক্ষা করে আছে, তখন রাশিয়ার এমন ঘোষণাকে আশার খবরই বলা যায়। তবে রাশিয়ার তৈরি টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর বিজ্ঞানীদের সংশয় রয়েছে। তবে এরই মধ্যে ২০টি দেশ টিকা পাওয়ার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মস্কোর গামেলিয়া ইনস্টিটিউট যৌথভাবে টিকাটি তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি টিকার নামকরণ করেছে 'স্পুটনিক-৫'। ১৯৫৭ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মহাকাশে স্পুটনিক নামে একটি স্যাটেলাইট পাঠিয়েছিল রাশিয়া। করোনার টিকার নামও রাখা হয়েছে সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। মানুষের ওপর দুই মাসেরও কম সময় টিকাটির পরীক্ষা চালানোর পরই তা নিবন্ধনের জন্য অনুমোদন দিয়েছে রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যদিও এখন পর্যন্ত টিকাটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়নি। এই ধাপে বিপুল সংখ্যক মানুষের ওপর টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়।
মন্তব্য করুন