মহামারি করোনার মধ্যেও থেমে নেই ভারত-চীন রেষারেষি, এশিয়ায় দুই দেশের প্রভাব বলয় বিস্তারের লড়াই। এবার দক্ষিণ এশিয়ার পর্যটনপ্রিয় দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে চীনা প্রভাবকে টেক্কা দিতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত। এ লক্ষ্যেই দ্বীপ দেশটিতে অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে সহায়তায় বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে নয়াদিল্লি। 

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহ এ সহায়তা প্যাকেজকে ‘ভারত-মালদ্বীপ বন্ধুত্বের ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন। খবর আলজাজিরার 

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মালদ্বীপে একটি বিশাল অবকাঠামো প্রকল্পে ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এরমধ্যে ১০ কোটি ডলার অর্থায়ন করা হচ্ছে সেতু নির্মাণে। আর বাকি ৪০ কোটি ডলার দেওয়া হচ্ছে ঋণ সহায়তা। এর মাধ্যমে নয়াদিল্লি চাচ্ছে, চীনা প্রভাব কমাতে মালদ্বীপের সঙ্গে বন্ধুত্ব জোরদার করতে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ শহীদের মধ্যে এ নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠক হয়েছে। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এ নিয়ে চুক্তি অনুযায়ী, মালদ্বীপের রাজধানী মালের সঙ্গে আশপাশের তিনটি দ্বীপের সংযোগ ঘটাতে একটি সেতু নির্মাণে ১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। এক বিবৃতিতে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ শহীদ বলেন, এ প্রকল্প সম্পন্ন হলে সেতুটি হবে মালদ্বীপে একক বৃহৎ অবকাঠামোগত বিনিয়োগ।

এর আগে মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের আমলে দেশটিতে মালদ্বীপ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মিত হয়। চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন ২০১৮ সালের নির্বাচনে পরাজিত হলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহ ক্ষমতায় আসেন। এরপরই ভারত উদ্যোগী হয় নতুন সরকারের সঙ্গে সর্ম্পক গড়তে। ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ ১১৯২ টি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। দেশটির অসংখ্য সমুদ্র সৈকত ও সাগরের নীলজলরাশি বিশ্বের ভ্রমণপিপাসুদের কাছে অতি পছন্দের পর্যটনস্পট। 

চীনের সিল্করুট তথা এক বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের ফোকাল পয়েন্টে রয়েছে মালদ্বীপ। এবার সেখানেই প্রভাব বলয় গড়তে কূটনীতি শুরু করলো ভারত।