- আন্তর্জাতিক
- যদি ঘোরে ভাগ্যের চাকা, টি-পটের দামই কোটি টাকা
যদি ঘোরে ভাগ্যের চাকা, টি-পটের দামই কোটি টাকা

ভাগ্যের শিকে যদি ছিঁড়ে, তখন কেউই তা আটকে রাখতে পারে না। করোনাভাইরাসের লকডাউনে বাড়িতে বসে বসে হাঁফিয়ে উঠছিলেন ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ারের এক বাসিন্দা। বেকার বসে বসে কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত সময় কাটাবার জন্য ঘড় পরিষ্কার করার কাজে লেগে পড়লেন। আর তাতেই ঘুরে গেল ভাগ্যের চাকা। পুরনো আবর্জনা ঘাঁটতে গিয়ে পেয়ে গেলেন এসন এক জিনিস, যার মূল্যই হলো প্রায় এক লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি টাকার মতো। খবর বিবিসির
জিনিসটা এমন কিছু না। ধরতে গেলে নেহাতই ফ্যালনা একটা পুরনো টিপট। তবে বয়স নইলেও কয়েকশ বছর। একটা পুরনো ওয়াইন ইউয়ার। কিন্তু যেহেতু কয়েকশ বছরের পুরনো তাই এটা অ্যান্টিক।
যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত নিলাম সংস্থা হ্যানসন্স অকশনারিজ জানিয়েছে, এটি নিলামে তোলা হলে কম পক্ষে এক লাখ পাউন্ড দাম উঠতে পারে। তাদের অনুমান, ছোট্ট টি-পটের আকারের এই পাত্রটি কোনও এক সময়ে চীনের কোনও সম্রাট ব্যবহার করতেন। সাধারণত ২০ থেকে ৪০ হাজার পাউন্ড দাম উঠলেও, তাদের আশা চীনা কোনো ক্রেতা এর দাম ১ লাখ পাউন্ড পর্যন্ত হাঁকতে পারেন। নিলাম সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, বেজিংয়ে তৈরি এনামেল করা দুষ্প্রাপ্য এই বস্তুটি কিয়ানলং যুগের হতে পারে, যার বিস্তৃতি ১৭৩৫-১৭৯৯ সাল পর্যন্ত। আকারে মাত্র ১৫ সেমি এই ‘টি-পট’। উজ্জ্বল হলুদের উপর ফুলের নকশা করা রয়েছে গোটা টি-পটে।
হ্যানসন্স অকশনারিজের মালিক চার্লস হ্যানসন জানিয়েছেন, ‘লকডাউনে খুঁজে পাওয়া শ্রেষ্ঠ সামগ্রী এটি। ১৮ শতকের ওয়াইন ইউয়ারানের এটা খুব উত্তেজনাকর একটা আবিষ্কার। চীনের প্রাসাদে সম্রাট কিয়ানলংয়ের ব্যবহৃত সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম হলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।’ তিনি আরও জানান, হুবহু একই রকম দেখতে আরও কিয়ানলং সাম্রাজ্যের শিলমোহর লাগানো দুটি টি-পট রয়েছে তাইওয়ানের তাইপেই-এর ন্যাশনাল প্যালেস মিউজিয়াম এবং বেজিং-এর প্যালেস মিউজিয়ামে। ‘চীনের সম্রাটের ব্যবহৃত ওয়াইন ইউয়ার কীভাবে ডার্বিশায়ারের একটি বাড়িতে এসে পৌঁছাল, তা সত্যিই অবাক করে। রাজ প্রাসাদের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে এটি ব্যবহার করা হত গরম ওয়াইন পরিবেশন করার জন্য।’
যে লোকটি এই টি-পট খুঁজে পেয়েছেন, তিনি বলেন, এটি আমাদের বাড়িতে বহু বছর ধরে পড়েছিল। আমার মা এটি কেবিনেট সাজিয়ে রাখতেন। আমার দাদা কিংবা দাদার বা হয়তো চীন থেকে এটি নিয়ে আসেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি চীনে কাজ করতেন। লোকটি ভাগ্যবান। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর অনলাইনে নিলাম হবে এই শতাব্দী প্রাচীন টি-পটের।
মন্তব্য করুন