ভারতের প্রাণী ও মৎস্য বিভাগের মূখ্য সচিব নবীন কে চৌধুরী বলেছেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জন্মু ও কাশ্মিরে মৎসজীবীদের জন্য ১৫৬৩টি স্বল্প মূল্যের বাড়ি নির্মাণের জন্য আর্থিক অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার 'প্রধানমন্ত্রীর মৎস সম্পদ যোজনা’ (পিএমএমএসওয়াই) প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে আয়োজিত এক সভায়  এ বিষয়ে তিনি বিষদ আলোচনা করেন।তিনি বলেন, শিগিগরই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জন্মু ও কাশ্মিরে অঞ্চলে জেলেদের জন্য আরও সুবিধা বাড়ানো হবে। 

সভায় নবীন চৌধুরী মৎস্য উৎপাদন, উৎপাদনশীলতা, গুণমান, প্রযুক্তি, ফসল কাটার পরের অবকাঠামো ব্যবস্থাপনা, আধুনিকীকরণ এবং মান শৃঙ্খলার আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে যেসব ফাঁকফোকর আছে সেগুলো বের করে তা মোকাবেলায় প্রকল্পের কর্মকর্তাদের ব্যাপক প্রচারণা বাড়ানোর আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, এই প্রকল্পে জেলেদের আয় ও মাছের উৎপাদন দ্বিগুণ করা, মৎস্য খাতে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা, মাছের উৎপাদনশীলতা হেক্টর প্রতি ৩ টন থেকে ৫ টনে উন্নীত করা ছাড়াও রিকার্কুলেটরি অ্যাকোয়া কালচার সিস্টেম এবং বায়োফ্লোক অ্যাকোয়াপোনিক্সের মতো নতুন প্রযুক্তি প্রবর্তনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

মূখ্য সচিব প্রকল্প পরিচালকদের বাজারের অবকাঠামো এবং মাছ প্যাকেজিং বিশেষ করে ট্রাউট রফতানিকে উৎসাহিত করতে প্রক্রিয়াজাতে বরাদ্দ কীভাবে বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে খোঁজ নিতে বলেছেন।

মূখ্য সচিব মৎস্য খাতে সহযোগী মডেল প্রচারণার জন্য ফিশারি এফপিও'র প্রতিষ্ঠার দিকে মনোনিবেশ করার পাশাপাশি মৎসচাষী ও উদ্যোক্তাদের সর্বাধিক সুবিধা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় জেলা পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে মৎসচাষীরা লাভবান হবে।

তিনি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের আগে শতভাগ মৎস্য চাষীদের এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধা বাড়ানোর ব্যাপারে জোর দিয়েছেন।

মূখ্য সচিব কর্মকর্তাদের বিভাগীয় আউটলেটগুলিতে মাছ বিক্রি বন্ধ এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে মাছের বিপণনের জন্য প্রচার ও স্থানীয় আর্থ-সামাজিক বিকাশ করার ক্ষেত্রে সব রীতিনীতি অনুসরণ করার নির্দেশনা দেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে ফিশারি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ আমিন, ফিনান্স বিভাগের প্রধান ইমতিয়াজ আহমদ ওয়ানী, পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান গিধারী লাল ও মৎস্য বিভাগের সব যুগ্ম পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।