চাঁদে এই প্রথম পা পড়বে কোনো নারীর। তা ঘটবে আর মাত্র চার বছর পর। প্রথম পদার্পণের ৫৫ বছর পর ২০২৪ সালে আবার চাঁদের মাটিতে হাঁটবেন দু'জন। একজন নারী ও একজন পুরুষ। তারা হাঁটবেন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জিম ব্রিডেনস্টাইন আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দিয়েছেন। ১৯৬৯-এ প্রথম পায়ের ছাপ পড়েছিল চাঁদের বুকে। সেই অভিযানে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন মহাকাশচারী।

ব্রিডেনস্টাইন জানিয়েছেন, এবার টানা সাত দিন ধরে চাঁদের মাটিতে হাঁটাহাঁটি, নুড়ি-পাথর কুড়ানো ও নানা ধরনের গবেষণা চালাবেন দুই মহাকাশচারী। এক দশকের মধ্যে লাল গ্রহ মঙ্গলের বুকে মানুষের পদার্পণের জন্য জরুরি গবেষণা ও প্রস্তুতি শুরু হবে চাঁদের মাটিতে এবারের পদার্পণ থেকেই। তারপর মহাকাশযানে চেপে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন দু'জন।

চাঁদে পদার্পণের জন্য কোন দু'জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে তাদের নাম জানায়নি নাসা। শুধুই খোলাসা করেছে চন্দ্রাভিযান 'আর্টেমিস মিশন'-এর প্রথম পর্যায়ের পরিকল্পনা। পৃথিবী থেকে চাঁদে যেতে ১৯৬৯ সালে লেগেছিল তিন দিন। এবার আড়াই দিনেই পা ছোঁয়ানো যাবে চাঁদের মাটিতে।

নাসা প্রশাসনিক প্রধান ব্রিডেনস্টাইন বলেছেন, 'এবার আমরা চাঁদে যাচ্ছি বহু বৈজ্ঞানিক আবিস্কার, পৃথিবীতে অর্থনৈতিক সুফল পাওয়ার লক্ষ্যে। এভাবে পরবর্তী প্রজন্মকেও আমরা অনুপ্রাণিত করতে চাইছি।'

নাসা জানায়, চাঁদে দ্বিতীয়বার মানুষের পদার্পণের জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী 'স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস)' ও মহাকাশযান 'ওরিয়ন' তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ওরিয়নের চারটি ইঞ্জিনকে পরখ করে দেখার কাজও চূড়ান্ত পর্যায়ে। আগামী মাসেই ওই ইঞ্জিনগুলোর 'হট ফায়ার টেস্ট' (প্রচ তাপমাত্রাতেও সেগুলো যাতে গলে না যায়) হবে। এরপরেই ওরিয়ন মহাকাশযানের কোর স্টেজটি (ভেতরের অংশ) পাঠানো হবে ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে। সেটিকে মহাকাশযানের মূল অংশের সঙ্গে জোড়া দেওয়া হবে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।