তিব্বতের অসখ্য শ্রমিককে চীন সামরিক কায়দার প্রশিক্ষণ শিবিরে থাকতে বাধ্য করছে; এমন শিবিরগুলোকে শ্রম শিবির হিসেবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাষ্ট্রীয় শতাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর, নীতি সংক্রান্ত নথি এবং স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে এ সংক্রান্ত গবেষণা করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক জেমসটাউন ফাউন্ডেশন।

২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাওয়া ওইসব তথ্য বিশ্লেষণ করে এতথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুরদের জন্য পরিচালিত শিবিরগুলোর পরিস্থিতিও তুলনা করা হয়েছে।

তিব্বত মূলত দুর্গম এবং বৌদ্ধ অধ্যুষিত একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। দীর্ঘ দিন ধরেই সেখানে  সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

গত মাসে তিব্বতের আঞ্চলিক সরকারের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালের প্রথম সাত মাসে চীন সরকারের এই প্রকল্পের অংশ হিসাবে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষকে এই শিবিরে রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়; যা এই অঞ্চলের জনসংখ্যার প্রায় ১৫%।

এতে বলা হয়, এর মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার জনকে তিব্বতে চাকরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং কয়েক হাজারকে চীনের অন্যান্য অংশে পাঠানো হয়েছে।

তিব্বত ও জিনজিয়াংয়ের স্বাধীন গবেষক আদ্রিয়ান জেঞ্জ সার্বিক তথ্যকে একত্রিত করেছেন। তিনি বলেন, তিব্বতের মানুষের সংস্কৃতি ও জীবিকার ওপর এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অক্রমণ।

রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে, চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় জোর করে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ শিবিরে থাকতে বাধ্য করার বিষয়টি কঠোরভাবে অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, চীন আইনের শাসনের মেনে চলা একটি দেশ এবং শ্রমিকরা স্বেচ্ছাসেবী; তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।