- আন্তর্জাতিক
- ফের লড়াইয়ে ফিরছে মুক্তি পাওয়া অনেক তালেবান
ফের লড়াইয়ে ফিরছে মুক্তি পাওয়া অনেক তালেবান

আফগান সরকার আর তালেবানের মধ্যে শান্তি চুক্তির শর্ত হিসেবে মুক্তি পাওয়া অনেক তালেবান ফের যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে যাচ্ছে। মঙ্গলবার শান্তিচুক্তির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ এ কথা বলেন। তবে তিনি এও বলেন, কাতারে অনুষ্ঠিত শান্তিচুক্তিতে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে। খবর এনডিটিভির।
শান্তিচুক্তির শর্ত হিসেবে যেসব তালেবান বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার যোদ্ধা তাদের আগের অবস্থানে ফিরে গেছে। আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ বলেন, এটা চুক্তির যে শর্ত, তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ইউএস কাউন্সিল ফর ফরেন রিলেশনের অনলাইন বৈঠকে তিনি এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, কাতারের দোহায় দুই পক্ষের মধ্যে বচলমান আলোচনায় ইতিবাচক ফলও রয়েছে। উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও গড়ে উঠছে।
তবে এরপরও আফগানিস্তানে সহিংসতা বন্ধ হয়নি। আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ শান্তিচুক্তির মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্র ও বিদ্রোহী তালেবানের সঙ্গে সমন্বয়কারী পাকিস্তানের প্রতি তালেবানকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান। তার মতে, সন্ত্রাসের মাত্রা এখনো অনেক বেশি। এটা জনগণের জন্য মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি তালেবান ও তাদের প্রতিপক্ষকে এই ব্যাপারে অবিলম্বে নজর দেয়ার আহ্বান জানাই।
এই ব্যাপারে পাকিস্তানের সঙ্গে আরো কথা বলার জন্য আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ পাকিস্তান যাবেন বলেও জানিয়েছেন।
ওদিকে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে কর্মকর্তারা জানান, তালেবান এখনো আইএস ও আল কায়দারসঙ্গে তাদের সংশ্রব ত্যাগ করতে পারেনি। শান্তিচুক্তির সফল বাস্তবায়নে এটাকে বড় বাধা বলে অভিহিত করেন তারা।
চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কর্মকর্তা জালমে খলিলজাদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নভেম্বরেই তাদের ৪ হাজার ৫০০ সেনা ফিরিয়ে নেবে। পরিস্থিতি ঠিকঠাক মতো এগোলে আরো সেনা প্রত্যাহারের কথা চিন্তা করবে তারা।
এরই মধ্যে আফগানিস্তান থেকে ১২০০০ সেনা ফিরিয়ে নিয়েছে তারা, যা মোট সেনার অর্ধেক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিদেশে যুদ্ধ করার জন্য সেনা অবস্থানের পক্ষে নন। আফগানিস্তান থেকেও পর্যায় সব সেনা ২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। অবশ্য সে জন্য তালেবান ও সরকারকে একটা কার্যকর শান্তি প্রক্রিয়ার মধ্যে এগোতে হবে।
মন্তব্য করুন