মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির নদর্মা পরিষ্কার করতে গিয়ে বিশালাকার ইঁদুরের সন্ধান পেয়েছে সাফাইকর্মীরা। দেখতে অনেকটাই ইঁদুরের মতো হলেও সেটি আদতে আসল নয়। নকল ইঁদুর। তবে দেখে সেটা বোঝার বিন্দুমাত্র উপায় নেই। এত অসাধারণ হাতের কাজ।

তার চেহারা দেখলে যে কেউ আঁতকে উঠতে পারেন। যেমন তার সুঠাম দেহ। তেমনই অতিকায় মুখ। মানুষের চেয়ে বড় তার চেহারা। যা দেখলে আঁতকে ওঠা স্বাভাবিক।

জিনিউজ জানায়, শহরের একটি নর্দমা। নিকাশি প্রণালী। যেখানে নেমে নিশ্চিন্তে মানুষজন সাফাই কাজ চালাতে পারেন। মেক্সিকোর রাজধানী শহর মেক্সিকো সিটির সেই নর্দমা সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়েছিল পুরোদমে।

২২ টন ওজনের জঞ্জাল সেখান থেকে সাফ করা হয়। আর এই সাফাই কাজ করার সময় সাফাইকর্মীদের নজরে পড়ে এক বৃহৎ ইঁদুর!

এত বড় ইঁদুর হয় নাকি! মানুষের চেয়ে বড়! প্রথমে নজর পড়াতে বিশ্বাস হয়নি তাদের। তারপর কাছে গিয়ে সাফাইকর্মীরা দেখেন নিথর হয়ে পড়ে আছে ইঁদুরটি। শুরু হয় সেটিকে ওপরে টেনে তোলার কাজ। নর্দমা থেকে বের করার পর রাস্তার ওপর রেখেই হোসপাইপ দিয়ে পানি ঢেলে ইঁদুর সাফাই করা হয়।

আর এই ঘটনার দৃশ্য মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা নিয়ে গোটা ইন্টারনেট তোলপাড়। ছবিটি শেয়ার হয়েছে অসংখ্যবার। 

এটি নজরে আসতেই এক নারীর দাবি,  করেছেন যেটি পাওয়া গিয়েছে সেটি তার। কয়েক বছর আগে হ্যালোউইন পালনের সময় বাড়ি সাজাতে এই বিশাল চেহারার ইঁদুরের সফট টয়টি কেনেন তিনি।হ্যালোউইন মানেই ভৌতিক, দানবীয়, বীভৎস দর্শন কিছু দিয়ে বাড়ি সাজানো। এই হ্যালোউইন উৎসব অনেকটা বাংলার ভূতচতুর্দশীর মত।

তিনি দাবি করেন, সেই সময় তিনি এই মানুষের চেয়ে বড় চেহারার ইঁদুরটি দিয়ে সাজিয়ে ছিলেন বাড়ি।

সেই ইঁদুরটি হ্যালোউইন শেষে জায়গা পেয়েছিল জঞ্জালের স্তূপে। তারপর সেটি কোনওভাবে নর্দমায় পড়ে যায়। মাটির তলার নর্দমা তারপর থেকে সেভাবে সাফাই না হওয়ায় ওটি সেখানেই পড়ে ছিল।