
এবারের নির্বাচনে আটটি রাজ্য নির্ধারণ করবে কে হবেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। দেশটির ৫০টি রাজ্যে একসঙ্গে ভোট হলেও সবার দৃষ্টি থাকে ভোট যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত রাজ্যগুলোর দিকে। এগুলোকে সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্য (যেসব রাজ্যে রিপাবলিকান বা ডেমোক্রেটিক পার্টির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা
নেই)। রাজনৈতিক বিশ্নেষকরা এবার এমন আটটি রাজ্যকে চিহ্নিত করেছেন। এগুলো হলো- ফ্লোরিডা, পেনসিলভানিয়া, ওহাইও, মিশিগান, উইসকনসিন, আইওয়া, অ্যারিজোনা ও নর্থ ক্যারোলাইনা। এ আট রাজ্য নির্ধারণ করে দেবে, আগামী চার বছরের জন্য কে হবেন হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জর্নালের এক বিশ্নেষণে বলা হয়েছে, আট সুইং স্টেটে ১২৫টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। এর মধ্যে ফ্লোরিডায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প জনমত জরিপে সমান অবস্থানে রয়েছেন। এ রাজ্যে ইলেকটোরাল কলেজের ভোট ২৯টি। নির্বাচনে যা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, অ্যারিজোনা ও উইসকনসিনে বাইডেন এগিয়ে রয়েছেন। ওহাইও ও আইওয়াতে এগিয়ে ট্রাম্প। ফ্লোরিডার মতো নর্থ ক্যারোলাইনাতেও সমান সমান অবস্থানে রয়েছেন ট্রাম্প-বাইডেন।
জর্জিয়া ও মিনেসোটা রাজ্যও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবারের নির্বাচনে। সম্প্রতি একটি জরিপে লালদুর্গ বলে পরিচিত টেক্সাসে বাইডেনের এগিয়ে থাকাও বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। আবার গত ১০০ বছরে কোনো রিপাবলিকান প্রার্থীর পক্ষে ফ্লোরিডায় জয়লাভ ছাড়া প্রেসিডেন্ট হওয়া সম্ভব হয়নি। ২০১৬ সালে এক পয়েন্টের বেশি ব্যবধানে সেখানে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়েছিলেন ট্রাম্প। ফলে এবারের নির্বাচনেও ফ্লোরিডায় জয় পাওয়ার ব্যাপারে ট্রাম্প আশাবাদী।
ফ্লোরিডার এক গ্যাস স্টেশনে কাজ করেন শাওন প্রজা। তিনি বলেন, ট্রাম্প ফ্লোরিডার ভোটার। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ আদি বাসিন্দা ট্রাম্পকে পছন্দ করেন। কারণ তারা যুক্তরাষ্ট্রকে তৃতীয় বিশ্বের কোনো রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান না। তাই তারা ট্রাম্পকে ভোট দেবেন বলে মনে হয়। অধিকাংশ সুইং স্টেটেই ট্রাম্পের জয় হবে বলে মনে করেন তিনি।
নিউইয়র্কের বাইডেন সমর্থক ব্যাংক কর্মকর্তা সুজন আফজাল বলেন, কোনো কারণে ফ্লোরিডায় জয় না পেলেও বড় জয় পাবেন বাইডেন। তিনি এবার রিপাবলিকানদের ঘাঁটি টেক্সাসেও জয়ী হবেন। পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিনেও নিশ্চিভাবে জয় পাবেন বাইডেন। এ রাজ্যগুলোর ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা যথাক্রমে ২০, ১৬ ও ১০। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের জরিপ অনুযায়ী টেক্সাসে ৩ পয়েন্টে এগিয়ে বাইডেন। ধারণা করা হচ্ছে, হিস্পানিকদের ভোটে এগিয়ে গেছেন তিনি। ১৯৭৬ সালে জিমি কার্টারের পর সেখানে আর কোনো ডেমোক্র্যাট জয় পাননি।
যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতিমান ইতিহাসবিদ অধ্যাপক অ্যালেন লিখটম্যান জানিয়েছেন, এবার প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন বাইডেন। ওয়াশিংটন ডিসির আমেরিকান ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের এ অধ্যাপক ১৯৮৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি নির্বাচনের ফল আগে থেকেই বলে দিয়েছেন। ২০০০ সালের নির্বাচন বাদে সবগুলো একেবারে সঠিক হয়েছে। যদিও ওই বছরের নির্বাচনটি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ফয়সালা হয়েছিল। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর হেরেছিলেন রিপাবলিকান জর্জ বুশের কাছে। লিখটম্যানের ভবিষ্যৎ ভাষ্য ভোটারদের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন বিশ্নেষকরা। প্রেসিডেন্ট হতে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের প্রয়োজন। সেখানে বাইডেন ৩০৭ থেকে ৩১০টি ইলেকটোরাল ভোট পাবেন বলে মনে করেন লিখটম্যান।
নেই)। রাজনৈতিক বিশ্নেষকরা এবার এমন আটটি রাজ্যকে চিহ্নিত করেছেন। এগুলো হলো- ফ্লোরিডা, পেনসিলভানিয়া, ওহাইও, মিশিগান, উইসকনসিন, আইওয়া, অ্যারিজোনা ও নর্থ ক্যারোলাইনা। এ আট রাজ্য নির্ধারণ করে দেবে, আগামী চার বছরের জন্য কে হবেন হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জর্নালের এক বিশ্নেষণে বলা হয়েছে, আট সুইং স্টেটে ১২৫টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। এর মধ্যে ফ্লোরিডায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প জনমত জরিপে সমান অবস্থানে রয়েছেন। এ রাজ্যে ইলেকটোরাল কলেজের ভোট ২৯টি। নির্বাচনে যা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, অ্যারিজোনা ও উইসকনসিনে বাইডেন এগিয়ে রয়েছেন। ওহাইও ও আইওয়াতে এগিয়ে ট্রাম্প। ফ্লোরিডার মতো নর্থ ক্যারোলাইনাতেও সমান সমান অবস্থানে রয়েছেন ট্রাম্প-বাইডেন।
জর্জিয়া ও মিনেসোটা রাজ্যও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবারের নির্বাচনে। সম্প্রতি একটি জরিপে লালদুর্গ বলে পরিচিত টেক্সাসে বাইডেনের এগিয়ে থাকাও বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। আবার গত ১০০ বছরে কোনো রিপাবলিকান প্রার্থীর পক্ষে ফ্লোরিডায় জয়লাভ ছাড়া প্রেসিডেন্ট হওয়া সম্ভব হয়নি। ২০১৬ সালে এক পয়েন্টের বেশি ব্যবধানে সেখানে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়েছিলেন ট্রাম্প। ফলে এবারের নির্বাচনেও ফ্লোরিডায় জয় পাওয়ার ব্যাপারে ট্রাম্প আশাবাদী।
ফ্লোরিডার এক গ্যাস স্টেশনে কাজ করেন শাওন প্রজা। তিনি বলেন, ট্রাম্প ফ্লোরিডার ভোটার। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ আদি বাসিন্দা ট্রাম্পকে পছন্দ করেন। কারণ তারা যুক্তরাষ্ট্রকে তৃতীয় বিশ্বের কোনো রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান না। তাই তারা ট্রাম্পকে ভোট দেবেন বলে মনে হয়। অধিকাংশ সুইং স্টেটেই ট্রাম্পের জয় হবে বলে মনে করেন তিনি।
নিউইয়র্কের বাইডেন সমর্থক ব্যাংক কর্মকর্তা সুজন আফজাল বলেন, কোনো কারণে ফ্লোরিডায় জয় না পেলেও বড় জয় পাবেন বাইডেন। তিনি এবার রিপাবলিকানদের ঘাঁটি টেক্সাসেও জয়ী হবেন। পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিনেও নিশ্চিভাবে জয় পাবেন বাইডেন। এ রাজ্যগুলোর ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা যথাক্রমে ২০, ১৬ ও ১০। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের জরিপ অনুযায়ী টেক্সাসে ৩ পয়েন্টে এগিয়ে বাইডেন। ধারণা করা হচ্ছে, হিস্পানিকদের ভোটে এগিয়ে গেছেন তিনি। ১৯৭৬ সালে জিমি কার্টারের পর সেখানে আর কোনো ডেমোক্র্যাট জয় পাননি।
যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতিমান ইতিহাসবিদ অধ্যাপক অ্যালেন লিখটম্যান জানিয়েছেন, এবার প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন বাইডেন। ওয়াশিংটন ডিসির আমেরিকান ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের এ অধ্যাপক ১৯৮৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি নির্বাচনের ফল আগে থেকেই বলে দিয়েছেন। ২০০০ সালের নির্বাচন বাদে সবগুলো একেবারে সঠিক হয়েছে। যদিও ওই বছরের নির্বাচনটি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ফয়সালা হয়েছিল। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর হেরেছিলেন রিপাবলিকান জর্জ বুশের কাছে। লিখটম্যানের ভবিষ্যৎ ভাষ্য ভোটারদের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন বিশ্নেষকরা। প্রেসিডেন্ট হতে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের প্রয়োজন। সেখানে বাইডেন ৩০৭ থেকে ৩১০টি ইলেকটোরাল ভোট পাবেন বলে মনে করেন লিখটম্যান।
মন্তব্য করুন