যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভুল তথ্য যেন আর না ছড়ায় সেজন্য সতর্ক রয়েছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এরইমধ্যে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি ভুল তথ্য ছড়ানো ‘স্টপ দ্য স্টিল’ এবং ‘শার্পিগেটের’ মতো হ্যাশট্যাগগুলো ব্লক করে দিয়েছে। ট্যাগগুলো দাবি করছিল, ভোট কারচুপি হচ্ছে এবং ভোট অকার্যকর করতে ব্যালটে ভুল চিহ্নিতকারী ব্যবহার করা হয়েছে। যা আদতে ঠিক নয়।

ফক্স বিজনেস বলছে, মার্কিন নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের লড়াই চলছে। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সীমিত হয়ে এসেছে ফলাফল। কে হবেন প্রেসিডেন্ট সে তথ্যও সীমিত হয়ে এসেছে। তাই ভুল তথ্য ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি। যে কারণে ‘স্টপ দ্য স্টিল’ এবং ‘শার্পিগেটের’ মতো হ্যাশট্যাগগুলো ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।

একেকটি হ্যাশট্যাগ ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে নানা পোস্টের প্রচার বা সমর্থন বাড়াতে কাজ করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে এই হ্যাশট্যাগগুলো দাবি করছিল, ডেমোক্র্যাটিক পার্টি রিপাবলিকানদের কাছ থেকে নির্বাচনী ফলাফল কারচুপি করতে চাইছে। একইসঙ্গে অ্যারিজোনার নির্বাচন কর্মকর্তারা ভোট অকার্যকর করতে ভোটারদের ব্যালট চিহ্নিত করার জন্য শার্পি দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

শার্পিগেট গুজব সত্ত্বেও অ্যারিজোনা নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেছেন, ভোটদানে অমোচনীয় মার্কারগুলোর কোনো প্রভাব নেই। ভোট রেকর্ড করার ট্যাবুলেশন মেশিনের দক্ষতার ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না এগুলো। প্রকৃতপক্ষে শার্পি কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশি পছন্দ করা হয়। কারণ তাদের কালি অন্যান্য কলমের চেয়ে দ্রুত শুকিয়ে যায়।

তাই এসব হ্যাশট্যাগ যাতে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো ধরনের ভুল তথ্য ছড়াতে না পারে, সেজন্য যোগাযোগ মাধ্যমের সেই পোস্ট, অ্যাকাউন্ট ও পেজগুলো সরিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে ফেসবুক। ফলাফল সম্পর্কে যাচাই না করেই ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে আনা হয়েছে এর পরিপ্রেক্ষিতে।

এদিকে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলো একের পর এক দখলে নিচ্ছেন ভোটের দাপটে। মাত্র ছয় পয়েন্ট দূরে থেকে নেভাদাতে এগিয়ে ছিলেন আগেই। শেষ মুহূর্তে এসে দখলে নেন জর্জিয়া। এরপর আবার পেনসিলভেনিয়াও। যে দুটিতে শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। অর্থাৎ জয় এবার বাইডেনের পক্ষেই। তিনি ম্যাজিক ফিগার ২৭০ এর দিকে  এগিয়ে আছেন ২৬৪ ইলেক্টোরাল ভোট নিয়ে। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প পড়ে আছেন ২১৪ তেই।