মুম্বাই হামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চিঠি দিয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা।

ইউরেশিয়ান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিঠিতে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়্যবার বিরুদ্ধে ইমরান খান সরকার কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে ইমরান খান বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে পোলিশ ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রাইজার্ড জার্নেক্কি এবং ইতালিয়ান ইউরোপীয় সদস্য ফুলভিও মার্টুসিলিও বলেছেন, 'সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়্যবার বিরুদ্ধে পাকিস্তান কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে আমরা আপনাকে লিখছি।'

মূলত পাকিস্তান তার দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে বা নিচ্ছে তা জানতে চেয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্যরা।

তারা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের গোয়েন্দা প্রতিবেদন, ডিএনএ নমুনা, ফটোগ্রাফ এবং হামলাকারীরা কোথায় থেকে এসেছেন সেসব শনাক্ত করে প্রমাণাদি দাখিল করা হয়েছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এই হামলায় পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করলেও মূল পরিকল্পনাকারীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।

পাকিস্তান থেকে জলপথে অনুপ্রবেশকারী কয়েকজন জঙ্গি ভারতের মুম্বাই শহরে ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ১০টিরও বেশি ধারাবাহিক হামলা চালায়। এই হামলার জন্য যেসব জঙ্গিরা তথ্যসংগ্রহ করত, তারা পরে স্বীকার করেছে যে, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিগেন্স (আইএসআই) তাদের মদদ দিত। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত এই হামলা চলে। ঘটনায় ১৬৬ জন নিহত ও কমপক্ষে ৩০০ জন আহত হন। ওই ঘটনায় লস্কর-ই-তৈয়্যবার ৯ সদস্যও নিহত হয়।

ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা এই হামলায় তদন্ত করে নয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। অভিযুক্তরা হলেন-ডেভিড হেডলি, হাফিজ সাঈদ, তাহাউর রানা, জাকি-উর রেহমান লাখভী, পাকিস্তানের দুই সেনা কর্মকর্তা মেজর ইকবাল এবং মেজর সমীর আলী, ইলিয়াস কাশ্মীরি, সাজিদ মালিক ও আবদুল রেহমান হাশিম।