১৯০২ সালে নির্মিত জম্মু এবং কাশ্মীরের প্রথম হাইড্রো বিদ্যুৎকেন্দ্র 'মহুরা' পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। কাশ্মীরের প্রথম এই হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রজেক্ট আবার চালুর উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি কাশ্মীরবাসী, বিশেষ করে বারমুল্লার অধিবাসীরা। 

১৯০২ সালে উত্তর কাশ্মীরের বারমুল্লা জেলার বোনিয়ারে ঝিলাম নদীর তীরে নির্মাণ করা হয় মহুরা বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিশেষ বৈশিষ্ট হল এর মধ্যে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ কাঠের তৈরি পানি রাখার জায়গা রয়েছে। খবর ইন্ডিয়া ব্লমস ডট কমের

এই বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রাথমিকভাবে ৩ দশমিক ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছিল। এছাড়া এর বিশেষ বৈশিষ্টের কারণে এটি সেচকাজেও সাহায্য করেছিল। 

তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্যায় কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯৫৯, ১৯৬২ এবং ১৯৯২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কেন্দ্রটি। 

২০১৭ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১২০ কোটি রুপি ব্যয়ে মহুরা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুনরায় চালুর কাজ শুরু করা হয়। 

সম্প্রতি ভারত সরকারের মুখ্য সচিব রোহিত কানসাল বলেন যে, মহুরায় নতুন করে ১০ দশমিক ৫ মেগাওয়াট হাইড্রো ইলেকট্রো প্রজেক্ট নির্মাণ করা হবে। ফলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি আবারও আশা জাগিয়ে তুলছে। আগামী ২১ মার্চের দিকে এই প্রকল্পের কাজ বরাদ্দ করা হতে পারে। 

বারমুল্লার অধিবাসীরা আশা করছেন, 'মহুরা' বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগের সব বৈশিষ্ট বজায় থাকবে। এর ফলে এটি পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থানও হতে পারে।