করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের বিরুদ্ধেও ফাইজারের টিকা কার্যকর হবে বলে দাবি করেছে জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক। 

সোমবার জার্মানির স্থানীয় এক টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী উগুর শাহীন এ দাবি করেন। তিনি বলেছেন, টিকার কার্যকারিতার ব্যাপারে আমি পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী। খবর রয়টার্সের

মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারের সঙ্গে যৌথভাবে করোনার টিকা উদ্ভাবন করেছে জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছিল ব্রিটেন। পরে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনটি জরুরি ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে। এরইমধ্যে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনটির প্রয়োগ শুরু হয়েছে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ শুরু করায় ইইউ’র ওপর চাপ বাড়ছিল।

জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর চাপের মুখে সোমবার ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দেয় ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি (ইএমএ)।  এর কিছু সময় পরেই নিজেদের ভ্যাকসিন নিয়ে আত্মবিশ্বাসের কথা জানান উগুর শাহীন।

করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর পর থেকেই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, অন্য যে কোন ভাইরাসের মতো করোনাভাইরাসের এই নতুন ভাইরাসটিও মিউটেশনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হতে পারে। তার বৈশিষ্ট্য এবং আচরণে পরিবর্তন ঘটতে পারে। লন্ডন এবং আশে-পাশের অঞ্চলের ভাইরাসটি নতুন করোনাভাইরাসের এরকম এক পরিবর্তিত রূপ বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ ব্যাপারে উগুর শাহীন বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে তাদের কোম্পানির পক্ষ থেকে এই রূপান্তর পরীক্ষা করে দেখা হবে। তবে তিনি নিশ্চিত হয়েই বলছেন, রূপান্তরিত ভাইরাসের ক্ষেত্রেও তাদের ভ্যাকসিন কাজ করবে।

সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে নতুন বৈশিষ্ট্যের এই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তারপর তা গোটা যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, তুরস্ক, কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান চলাচল স্থগিত করেছে।