ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

ইসরায়েলি বর্বরতা

ফিলিস্তিনে নিহত ছাড়াল ৭০০০

ফিলিস্তিনে নিহত ছাড়াল ৭০০০

ছবি: এএফপি

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | ১৬:৩১ | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | ১৬:৩১

গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি বর্বর হামলা একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছোট ভূখণ্ডটিতে টানা ১৯ দিনে অন্তত ৭০০ স্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলার ভয়াবহতা, উদ্দেশ্য এবং সাধারণ ফিলিস্তিনিদের জীবনের মূল্য বিশ্বব্যাপী নাড়া দিয়েছে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের। 

বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নিহতের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজারই শিশু। খবর নিউইয়র্ক টাইমস ও আলজাজিরার।

ফিলিস্তিনিদের ওপর বোমা হামলার ভয়াবহতা প্রতিহিংসাপরায়ণ আর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যহীন। ফলে গোটা গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন। মাটিতে মিশে গেছে বহু আবাসিক এলাকা। গাজার মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহতের সংখ্যা বিচার-বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ১৯৮২ সালের লেবানন যুদ্ধের পর এটিই ফিলিস্তিনিদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। 

গাজায় হামাসের সামরিক অবকাঠামো ধ্বংসে হামলা করা হচ্ছে দাবি করলেও মূলত বাড়িঘর এবং বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হচ্ছে। হামাসের সামরিক স্থাপনাগুলো আবাসিক ভবনের কাছাকাছি নির্মিত বলেও দাবি করা হয়। কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, গাজার সম্ভাব্য স্থল আক্রমণ বিমানযুদ্ধের চেয়েও রক্তাক্ত হতে পারে। গত মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় ৭০৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এটি গাজায় ইসরায়েলি হামলার সবচেয়ে মারাত্মক দিন ছিল। হামাস বলেছে, গাজায় হামলার কারণে তাদের কাছে জিম্মি ৫০ ইসরায়েলি এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন। 

ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় প্রতিদিন নিহতের সংখ্যা বাড়লেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, নিহতের এই সংখ্যা তিনি বিশ্বাস করেন না। বাইডেন বলেন, ফিলিস্তিনিরা যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে, তাতে আমার কোনো আস্থা নেই। 

এদিকে ১৭ অক্টোবর গাজার আল-আহলি হাসপাতালে হামলার পর গাজা কর্তৃপক্ষের দেওয়া ৪৭১ জন নিহতের সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। সেখানে নিহতের সংখ্যা ১০০ থেকে ৩০০ জনের মধ্যে বলে তাদের দাবি। 

আইসক্রিমের গাড়িতে রাখা হচ্ছে বহু লাশ

লাশ রাখার জায়গা হচ্ছে না গাজার হাসপাতালগুলোতে। ফলে আইসক্রিমের কাভার্ডভ্যানে একটির ওপর আরেকটি লাশ রাখতে হচ্ছে। আল-শিফা হাসপাতালের চিকিৎসক আলী বলেন, হাসপাতালে প্রতিদিন যে বিপুল পরিমাণ মৃতদেহ আসে, তা সংরক্ষণের জন্য আমরা আইসক্রিম কারখানা থেকে আইসক্রিম ট্রাক নিয়ে এসেছি। এসব ফ্রিজারেও এখন আর জায়গা নেই। ফলে প্রতিদিন ২০-৩০টি লাশ বাইরে তাঁবুতে রাখতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন

×