জান্তা সরকারের পরাজয় নিশ্চিতে সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ
মিয়ানমার সেনাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের সঙ্গে নামতে চায় বাসিন্দারাও
মিয়ানমারে দখল করা একটি শহরে বিদ্রোহী বাহিনীর পতাকা উড়ছে। ছবি: রয়টার্স
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৩ | ০৪:০৭
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী লড়াই করে যাচ্ছে। কয়েকটি শহরও নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তারা। এসব শহরের বাসিন্দারা এখন বলছে, তারাও যুদ্ধে নামতে চায়। যাতে করে জান্তাবিরোধী সংগ্রাম আরও দ্রুত সফল হয়। খবর ইরাওয়াদির।
জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন (ইএওএস) এবং পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফএস) পুরো মিয়ানমারে সামরিক ঘাঁটিতে হামলা জোরদার করেছে গত কয়েক দিন ধরে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার হটায়। এর পর অঞ্চল ও রাজ্যের বিক্ষুব্ধ মানুষ পিডিএফ গঠন ও মিয়ানমারের জান্তা সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে।
সীমান্তবর্তী চিন, কাচিন, কারেননি (কায়াহ), কারেন ও রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো জান্তা সেনাদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। জাতিগত ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স ‘অপারেশন ১০২৭’ চালিয়ে চীন সীমান্তের শান রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের ছয়টি শহর আক্রমণ ও দখল করে। শহরের বাসিন্দারা অপারেশনকে সমর্থন ও উল্লাস করেছে।
ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দা থাজিন বলেন, তিনি উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্য এবং অন্যান্য রাজ্যে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প দখল করে আনন্দিত। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর হামলা ইয়াঙ্গুন পর্যন্ত গেলে আরও ভালো হবে।
এই বাসিন্দা বলেন, ‘গ্রামের মানুষ তাদের জীবন বিসর্জন দিয়ে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছে। আমি চাই শহরের মানুষও জানুক, গ্রামের মানুষ কেমন অনুভব করে। আমি সমতা চাই।’
প্রতিরোধের হামলা এরই মধ্যে উচ্চ সাগাইং অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। মান্দালেতে বসবাসকারী কো মিন লুইন বলেন, শহরগুলো জান্তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিলে বিপ্লব আরও শক্তিশালী হবে। তিনি বলেন, ‘আমি চাই যুদ্ধটি ইয়াঙ্গুন, মান্দালে এবং নেপিদোর মতো বড় শহরে ছড়িয়ে পড়ুক। এতে জনগণ আরও অনুপ্রাণিত হবে। সামরিক শাসনের অধীনে শহরের মানুষও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দা মা ওয়াথান বলেন, পরবর্তী প্রজন্ম যাতে ভালো পরিস্থিতিতে বাস করতে পারে, সে জন্য স্বৈরতন্ত্রকে নির্মূল করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যদিও আমরা যুদ্ধে মারা যাই, কিন্তু যারা বেঁচে থাকবে, তারা শান্তিতে থাকতে পারবে।’
ইয়াঙ্গুনের এক বাসিন্দা বলেন, ‘স্বৈরাচারকে পরাস্ত করতে দেশব্যাপী বিপ্লবের প্রয়োজন হলে, তা সফল না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে রণাঙ্গনে থাকতে হবে।’