মিয়ানমার পরিস্থিতি
মিয়ানমারে জান্তা সেনাদের বিরুদ্ধে তুমুল লড়াই
বিমান হামলায় সাত বেসামরিক নাগরিক নিহত

ছবি-সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৩ | ২২:৫১
মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা সরকারের লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। বিদ্রোহীদের দাবি, তারা জান্তা সরকারের আরও কয়েকটি ঘাঁটি দখলে নিতে সক্ষম হয়েছে। দুই দিনে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে সাত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। নিহতদের অধিকাংশ শান প্রদেশের বাসিন্দা। মঙ্গলবার মিয়ানমার থেকে প্রকাশিত ইরাবতি অনলাইনে এসব তথ্য জানানো হয়।
মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফএস) ও অ্যাথনিক আর্মড অর্গানাইজেশনসহ (ইএওএস) বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী অব্যাহতভাবে সামরিক লক্ষ্যে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান ও রাখাইন রাজ্য এবং সাগাইন, বাগো ও তানিনথারাই অঞ্চলে এ লড়াই চলছে। এসব এলাকায় মঙ্গলবার হামলা জোরদার করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিডিএফএস ও ইএওএস।
শান প্রদেশে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ রাসায়নিক বোমা ব্যবহারের অভিযোগ করেছে ত্যাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি বা টিএনএলএ। গত শনিবার তারা সফলভাবে শান প্রদেশের সাখান খিত কোনে নামক সামরিক ঘাঁটিটি দখলে নিয়েছে। সামরিক বাহিনীর বিপুল পরিমাণ অস্ত্রও জব্ধ করেছে টিএনএলএ।
ট্যাং উইম্যান অর্গানাইজেশন (টিডব্লিউও) বলছে, শান প্রদেশের নামশান এলাকার অং মা সুম গ্রামে কোনো কারণ ছাড়াই বোমাবর্ষণ করে জান্তা সরকারের অনুগত বাহিনী। এতে নিহতদের মধ্যে ১৪ বছরের এক কিশোরীও রয়েছে। সেনাবাহিনী বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্যে পরিণত করছে। টিডব্লিউও জানায়, গত রোববার রাতে জান্তা সরকারের বিমান নামশানের মিও থিন গ্রামে বোমা হামলাও চালিয়েছে। এতে এক শিশু ও একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও আটজন। ২৫টির বেশি বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়েছে।
মঙ্গলবার চিন প্রদেশে বিমান হামলা চালায় জান্তা সরকার। এতে প্যালেতওয়া শহরতলিতে মি জার গ্রামের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। ওই গ্রামটিতে আরাকান আর্মির সদস্যরা জান্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়ছেন। চিন ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ) এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হামলায় এরই মধ্যে অর্ধশতাধিক সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। ক্যারানি হিউম্যান রাইটস গ্রুপ জানিয়েছে, গত ১১ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে জান্তা সরকারের বিমান হামলা, গোলা ও গুলিতে লইকাও অঞ্চলে ৫০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হন।
গত ২৭ অক্টোবর থেকে শান প্রদেশে সরকারবিরোধী অভিযান ‘১০২৭’ শুরু করে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। গত ১৩ নভেম্বর চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা সিএনএফ মিয়ানমার-ভারত সীমান্তবর্তী রেহ খাও দ্য টাউন নিজেদের দখলে নেয়।