- আন্তর্জাতিক
- সেনা অভ্যুত্থান না মেনে বিক্ষোভের আহ্বান সু চির
সেনা অভ্যুত্থান না মেনে বিক্ষোভের আহ্বান সু চির

অং সান সু চি- ছবি: বিবিসি
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি জনগণকে দেশে সামরিক অভ্যুত্থান না মেনে বিক্ষোভের ডাক দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) একটি বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।
দলটির বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক বাহিনীর এ পদক্ষেপ দেশকে আবারও স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেওয়ার পদক্ষেপ। তাই জনগণকে এই সেনা অভ্যুত্থান না মেনে বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে হবে। খবর বিবিসির
বিবৃতিতে এনএলডি নেতা অং সান সু চির নাম উল্লেখ করে বলা হয়, ‘আমি জনগণকে এটি মেনে না নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং আন্তরিকভাবে এই সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
সোমবার ভোরে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্ট এবং ক্ষমতাসীন দলের সিনিয়র নেতাদের আটকে জরুরি অবস্থা জারি করে দেশটির সেনাবাহিনী। ‘নির্বাচনে জালিয়াতি’র প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
নিজেদের নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে একটি ভাষণে মিয়ানমার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ‘নির্বাচনে জালিয়াতি’র প্রতিক্রিয়ায় এ অভিযান চালানো হয়েছে। সেনাপ্রধান মিন অং লাইংয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে এবং এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হবে।
সেনা অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা দখলে নিয়েছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ এবং সেনাপ্রধান মিন অং লাইং সরকার ও প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনার পর এ ঘটনা ঘটল।
এর আগে ১৯৬২ সালে এক অভ্যুত্থানের পর দেশটি টানা ৪৯ বছর সামরিক বাহিনীর হাতে শাসিত হয়েছে।
গত বছরের ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল এনএলডি নিরঙ্কুশ জয় পায়। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যেখানে ৩২২টি আসনই যথেষ্ট, সেখানে এনএলডি পেয়েছে ৩৪৬টি আসন। সোমবার থেকে নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে। তারপর থেকেই দেশটিতে আবার সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা দেখা দেয়।
মন্তব্য করুন