রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপে বরফে মোড়ানো একটি ছোট্ট আগ্নেয়গিরির উপত্যকা। সেখানেই লুকিয়ে আছে হাজারো রহস্য। সেখানে রহস্য এবং জীববৈচিত্র্য যেন একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দেয়।

হিমশীতল ওই উপত্যকার পরতে পরতে যত রহস্য, তার কূলকিনারা করতে পারেনি কেউ। এক দশমিক দুই কিলোমিটার দীর্ঘ ওই এলাকায় জীবজন্তু প্রবেশ করে। তবে আর বাইরে বের হতে পারে না। গ্রীষ্ফ্মে যখন বরফ গলতে শুরু করে, এই উপত্যকায় ঢোকে খরগোশ, পাখিসহ বিভিন্ন জীবজন্তু। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ততক্ষণাৎ সেখানে মারা যায়। এই মৃত পশুদের খাওয়ার লোভে সেখানে প্রবেশ করে নেকড়ের মতো শিকারি পশুরাও। শিয়াল, ঈগল থেকে শুরু করে ভালুকের মতো বড় প্রাণীও সেখানে প্রবেশ করে। তবে কেউ আর ফিরে আসে না বললেই চলে।

কীভাবে মৃত্যু হয় প্রাণীগুলোর, সেটিই বড় রহস্য। তীব্র ঠান্ডায় প্রাণীগুলোর নিথর দেহ দিনের পর দিন অবিকৃত পড়ে থাকে। তাদের দেহে অসুখ বা আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় না। তাহলে তাদের মৃত্যুর জন্য কে দায়ী? রাশিয়ার ইনস্টিটিউট অব ভলক্যানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজির আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ ভলাদিমির লিয়োনোভের ধারণা, প্রাণীগুলোর মৃত্যু রহস্যের কারণ হলো আগ্নেয়গিরি। এই ধারণা তিনি প্রচার করেছিলেন ১৯৭৫ সালে। সে বছরই তিনি এই উপত্যকা আবিস্কার করেছিলেন।

জনশ্রুতি আছে, এই উপত্যকা থেকে মৃত জীবজন্তুর দেহ নিয়মিতভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়। কে করে সেই কাজ? সে তথ্য আজও অন্ধকারে। সাতের দশকের মাঝামাঝি লিয়োনোভের ছাত্র এবং গবেষণায় সহকারী ভিক্টর দেরিয়াজিন দাবি করেন, রুশ সেনাবাহিনী এই উপত্যকার অস্তিত্ব জানতে পেরেই সক্রিয় হয়ে ওঠে। হেলিকপ্টার পাঠিয়ে উপত্যকা থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। সূত্র :রাশিয়া টাইমস।