- আন্তর্জাতিক
- কেরালায় ‘পরিবর্তনের ঐতিহ্য’ ভেঙে ইতিহাস গড়ল বামজোট
কেরালায় ‘পরিবর্তনের ঐতিহ্য’ ভেঙে ইতিহাস গড়ল বামজোট

পিনারাই বিজয়ন
কেরালার রাজনীতিতে নতুন ইতিহাস গড়লেন পিনারাই বিজয়ন। বিধানসভা নির্বাচনে তার নেতৃত্বেই আবার ক্ষমতায় ফিরেছে সিপিএমের নেতৃত্বাধীন এলডিএফ জোট। পাঁচ বছর অন্তর অন্তর ক্ষমতার পালাবদলে অভ্যস্ত কেরালার রাজনীতিতে যা নজিরবিহীন ঘটনা।
ঘোষিত ফল এবং গণনার প্রবণতা বলছে, ১৪০ আসনের কেরলা বিধানসভায় ৯৭টিতে জিতে ক্ষমতায় ফিরছে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের জোট। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ পেতে চলেছে ৪২টি আসন। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে এলডিএফ ৯১ এবং ইউডিএফ ৪৭টি আসনে জিতেছিল। তবে পরবর্তীকালে ১৫ বিধায়কের দল কেরলা কংগ্রেস (মণি) ইউডিএফ ছেড়ে এলডিএফ জোটে যোগ দেয়। ২০১৬ সালে একটি আসনে জিতেছিল বিজেপি। এবারও তারা একটিতে এগিয়ে রয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার
মধ্য কেরালার প্রভাবশালী আঞ্চলিক দল কেরলা কংগ্রেসের (মণি) জোট-বদল এবং ভোটের মুখে পিসি চাকোর মতো প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতার দলত্যাগ রাজ্যের ‘পরিবর্তনের ঐতিহ্য’ ভেঙে দিল বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। পাশাপাশি কভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজয়ন সরকারের তৎপরতাও ভোট জয়ের পথ সুগম করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি ভোটের আগে পশ্চিম এশিয়া থেকে স্বর্ণ পাচারের মামলায় বিজয়ন সরকারের নাম জড়ালেও ভোটে তার প্রভাব পড়েনি।
মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন কান্নুরের ধর্মাদম কেন্দ্রে জিতেছেন। কান্নুর জেলারই মট্টানুর কেন্দ্রে জিতেছেন করোনা পরিস্থিতিতে নজরকাড়া কাজ করে খবরের শিরোনামে আসা স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা। অন্যদিকে, কোট্টায়ম জেলার পুথুপল্লি আসনে জয় পেয়েছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা উম্মেন চাণ্ডি।
এর আগে ১৯৮২ সালের মার্চে সাংবিধানিক সংকটের জেরে কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী কে করুণাকরণের মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়ে রাজ্যটিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছিল। কিন্তু ওই বছরই বিধানসভা ভোটে জিতে ক্ষমতায় ফিরেছিলেন করুণাকরণ। কিন্তু কখনও মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে ভোটে জিতে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের ঘটনা ঘটেনি কেরালার রাজনীতিতে। এবার ঘটনাচক্রে রাহুল গান্ধী রাজ্যটির ওয়ায়নাড় লোকসভা কেন্দ্র থেকে জেতার পরই ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস গড়ল বাম জোট।
মন্তব্য করুন