করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জাপানে জন্মহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে হিসাব দিয়েছে, তাতে দেখা গেছে, ২০২০ সালে শিশু জন্মহার কমেছে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। ১৮৯৯ সালের পর দেশটিতে এটাই সর্বনিম্ন জন্মহার।

সিএনএন জানিয়েছে, জাপানে জন্মহার এমন আচমকা কমে যাওয়ার কারণ করোনা মহামারি। করোনার কারণে স্বাভাবিকভাবেই বিয়ের হার কমেছে এবং তার প্রভাব পড়েছে সন্তান জন্মদানেও। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে নিবন্ধিত বিয়ের সংখ্যা কমেছে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া দেশটিতে সন্তান জন্মদানে সক্ষম নারীর সংখ্যাও কমেছে ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

গত কয়েক বছর ধরে জাপানে জন্মহার কমার দিকে। এতে দেশটিতে এক সময় কর্মক্ষম মানুষের সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জাপানের জনসংখ্যা ১২ কোটি ৪০ লাখ। জন্মহার এভাবে কমতে থাকলে ২০৬৫ সালে এ সংখ্যা ৮ কোটি ৮০ লাখে নেমে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অবশ্য শুধু জাপানই নয়, জনসংখ্যা হ্রাস নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীনও। মে মাসের সরকারি হিসাবে চীনের জনসংখ্যা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ১৯৬০ সালের পর চীনে জনসংখ্যা সর্বোচ্চ হারে হ্রাস পেয়েছে। তাই আগের দুই সন্তান নীতি থেকে এখন তিন সন্তান নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে দেশটিতে। এর আগে ২০১৫ সালে জনসংখ্যা হ্রাস মোকাবিলায় এক সন্তান নীতি থেকে সরে এসেছিল এশিয়ার এ দেশটি।