পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মানুষের বসবাস। একেক অঞ্চলের ভাষা, সাম্প্রদায়িক বৈশিষ্ট্যও আলাদা। কোনও কোনও অঞ্চলের মানুষের নানা শারীরিক সমস্যার কথাও শোনা যায়। ইন্দোনেশিয়ায় এমন এক গ্রাম আছে যেখানকার বেশিরভাগ মানুষই কানে শুনতে পান না।

বালি দ্বীপ থেকে উত্তরে এই গ্রামটির নাম বেংকালা। এই গ্রামে প্রায় তিন হাজার মানুষের বাস। এদের বেশিরভাগই দরিদ্র। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ মনমুগ্ধকর। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এখানকার ৮০ শতাংশ মানুষ কানে শোনেন না। নিজেদের মধ্যে ভাব বিনিময়ে তারা ব্যবহার করেন সাংকেতিক ভাষা। বিশ্ববাসীর কাছে গ্রামটি 'বধিরদের গ্রাম' নামে পরিচিত। গ্রামের বাসিন্দারা পশুপালন এবং কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে বর্তমানে এখানে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটছে।

এখানকার বেশিরভাগ শিশু জন্মগতভাবে কানে শোনার সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। গ্রামের বাসিন্দাদের আগে ধারণা ছিল, কোনো দেবতা রুষ্ট হওয়ার কারণে এমনটি ঘটছে। তবে সমস্যাটি নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়েছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন, এদের সকলের মধ্যেই একটি জিনগত সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যার কারণে সেখানকার বাসিন্দাদের শ্রবণ শক্তি খুবই কম। 

তবে কানে না শোনার সমস্যাটি এ অঞ্চলের মানুষ মানিয়ে নিয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলেন সংকেতে। এই সাংকেতিক ভাষার নাম 'কাতা কোলক'। পর্যটকদের সঙ্গে তারা এই  ভাষাতেই কথা বলেন। এটিই এখন গ্রামের অন্যতম ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।