- আন্তর্জাতিক
- হাজার হাজার বেলুচিস্তানি নির্যাতনের শিকার হতো রাষ্ট্রের ‘টর্চার সেলে’
হাজার হাজার বেলুচিস্তানি নির্যাতনের শিকার হতো রাষ্ট্রের ‘টর্চার সেলে’

ছবি: দ্য জেনেভা ডেইলি
আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস পালিত হয় বিশ্বব্যাপী যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাদের উদ্দেশে। যাতে করে সারা বিশ্বের মানুষ নির্যাতনের শিকার হাজার হাজার মানুষদের প্রতি এবং তাদের পরিবারের প্রতি সংহতি ও সমর্থন জানাতে পারে। সারা বিশ্বে মানুষ যাতে নির্যাতনের শিকার না হয় তার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবসে আলাপ আলোচনা হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে জাতিসংঘ এই দিবসটি ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালের ২৬ জুন নিষ্ঠুর নির্যাতন এবং অমানবিক আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি ঘোষণা করে জাতিসংঘ।
নির্যাতনের এই ইতিহাস পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত সব নির্যাতনের গল্প বলে। শারীরিক নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন সব ধরনের কথাই বলে। উত্তর আয়ারল্যান্ডের আইআরএ থেকে ৯/১১, আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া বা গুয়ানতেনামো উপসাগরে যে নির্যাতন চালানো হয়েছে তার কথা বলে।
১৯৮৪ সালে একটি সম্মেলনে নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে সকল ধরনের নির্যাতনের অভিযোগ গ্রহণ করা হত এবং রাষ্ট্রের সহযোগিতায় তা তদন্ত করা হতো। এসব চেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও নির্যাতন বিশ্বজুড়ে একটি মারাত্মক সত্য হিসেবে রয়ে গেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলি দ্বারা যেসব প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে প্রকাশ করে তার খুব কমই শাস্তি দিয়ে থাকে রাষ্ট্র।
বেলুচিস্তানে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও নির্যাতনের কাহিনী শুরু হয় ১৯৪৮ সালে জবরদখলের মাধ্যমে। তখন থেকেই রাষ্ট্র নির্যাতনের জন্য ‘টর্চার সেল’ তৈরি করে। কিন্তু দুই দশক ধরে এই নির্যাতন উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। যার মধ্যে হাজার হাজার বেলুচিস্তানিকে যন্ত্রণাদায়ক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে রাষ্ট্রের ‘টর্চার সেলে’। এমনকি নির্যাতনের পর তাদের মৃতদেহ বুনো পশুদের মাঝে ফেলে দেয়া হতো।
যেসব বেলুচিস্তানিরা পাকিস্তানী রাষ্ট্র দ্বারা গুম বা নিখোঁজ হতো তাদের বেশিরভাগই ছিলো রাজনৈতিক ব্যক্তি, সামাজিক অধিকারকর্মী বা তাদের আত্মীয়। তাদেরকে পাকিস্তানী মিলিটারি ক্যাম্পে নিয়ে ‘টর্চার সেলে’ নির্যাতন করা হতো। মানবাধিকার সংস্থাগুলো পাকিস্তানকে অনেক বার এই বিষয়ে জানিয়েছিলো। তারা লিখিত প্রতিবাদও করেছিলো। কিন্তু পাকিস্তান এতে কোন পাত্তা দেয়নি।
দুর্ভাগ্যক্রমে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো যুদ্ধাপরাধ করছে। তারা কীভাবে পাকিস্তানকে যুদ্ধপরাধের জন্য দায়ী করতে পারে?
এদিকে বেলুচিস্তানের বিক্ষোভের কারণে পাকিস্তান সম্ভবত তাদের গণহ্ত্যার ধরন পরিবর্তন করেছে। তবে তারা গণহ্ত্যা ও সহিংসতা অব্যাহত রেখেছে।
মন্তব্য করুন