কপ২৮: দুবাইয়ে পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিলো ‘ইরোসন'
ছবি: ডয়েচে ভেলে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৭:৪২
জলবায়ু সম্মেলনে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিলো পরিচালক স্যমন্তক ঘোষের তথ্যচিত্র ইরোসন। কপ২৮-এ দুবাইয়ের তেররে পলিসি সেন্টারে শুক্রবার প্রদর্শিত হয়েছে এই চলচ্চিত্রটি। খবর ডয়েচে ভেলের
ভারতের পাঁচটি জায়গায় এই তথ্যচিত্রের শুটিং হয়েছে। আটটি অধ্যায়ে দর্শকদের কাছে পরিবেশ রক্ষার আর্জি জানানো হয়েছে। তথ্যচিত্রের সিনেম্যাটোগ্রাফার অর্চিষ্মান সাহা দেখিয়েছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বের সুদূর অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে নিরাপত্তার জন্য রাস্তা নির্মাণ প্রকৃতির কতটা ক্ষতি করছে।
হিমালয়ের অন্যতম জলাভূমিকেই এখন ডিনামাইটের সলতে বলা যেতে পারে। তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে, আসামের মাজুলিতে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে ‘মিসিং' জনজাতি।
উঠে এসেছে ভারত-নেপাল সীমান্তে কোশি নদীর বন্যার তোড়ে অতিষ্ঠ মানুষের জীবনের গল্প। ছবির কথক দীপায়ন দে ব্যাখ্যা করেছেন, কীভাবে হিমালয়ের কোলে যোশীমঠ যেন এক মৃত নগরে পরিণত হচ্ছে। এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন যাযাবর জনজাতিরা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এবং স্থানীয় মানুষের উপর তার প্রভাবের কথাও বলেছেন পরিচালক স্যমন্তক।
প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন দুবাইয়ের তেররে পলিসি সেন্টারের পরিচাল ড. হিমিতা আপ্তে। ছবিটি প্রযোজনা করেছে সাউথ এশিয়ান ফোরাম ফর এনভায়রনমেন্ট।
তথ্যচিত্রের ভাবনা সম্পর্কে পরিচালক বলেন, ‘পরিবেশ নিয়ে কাজ করতেসবসময়ই ভালো লাগে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কোন মঞ্চে এটি দেখানো হচ্ছে। কপ২৮ তেমনি একটি মঞ্চ। স্বাভাবিকভাবেই খুব আনন্দ হচ্ছে। এই তথ্যচিত্রের মূল ভাবনা হলো, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে মানুষেরা আক্রান্ত, তাদের কথা তুলে ধরা। আশা করি, সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এ কথা পৌঁছাবে।'
তথ্যচিত্রটি সম্পাদনা করেছেন সুব্রত গোস্বামী। তিনি বলেন, ‘ভারতের হিমালয় থেকে সুন্দরবন, মোট পাঁচটি জায়গায় শুটিং হয়েছে। সেইসব এলাকায় কাজ করা খুব সহজ ছিল না। আমাদের ক্যামেরা যদি তাদের কথা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেয়, সেটাই সবচেয়ে বড় পাওনা।'
- বিষয় :
- আন্তর্জাতিক